ভারতে কি এ বার হাতে পাবে বিজয় মাল্য, নীরব মোদীর মতো ‘পলাতক’ ব্যবসায়ীদের? সম্প্রতি, ব্রিটেনের ‘ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস’ (সিপিএস)-এর এক প্রতিনিধি দল তিহাড় জেল পরিদর্শন করে গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এনআইএ সূত্রে খবর, আর্থিক এবং ফৌজদারি অভিযোগে পলাতক অভিযুক্তদের ভারতে প্রত্যর্পণের বিষয়ে অনেক দিন ধরেই সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছে ভারতীয় সংস্থাগুলি। সম্প্রতি ব্রিটেনের আদালত প্রত্যর্পণের অনুরোধে অনুমতি দিয়েছে। তার পরই ব্রিটেনের প্রতিনিধি দল ভারতে ঘুরে গেল।
এই বিষয় সম্পর্কে অবগত কয়েক জন কর্তার মতে, সিপিএস-এর দল তিহাড়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে গিয়েছে। জেলের উচ্চ-নিরাপত্তা সেলগুলিও পর্যবেক্ষণ করেছে। কথা বলেছে বন্দিদের সঙ্গেও। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, পলাতক অভিযুক্তদের ভারতে ফিরিয়ে এনে নিরাপদ পরিবেশে রাখা হবে। শুধু তা-ই নয়, প্রয়োজনে হাই-প্রোফাইল বন্দিদের রাখার জন্য জেলের মধ্যেই একটি বিশেষ ব্যবস্থা করা হতে পারে।
ভারতে ফেরানো হলে পলাতক অভিযুক্তদের কোথায় রাখা হবে, তাঁদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যবস্থা আদৌ ঠিকঠাক হবে কি না, তা নিয়ে অতীতে সন্দেহপ্রকাশ করেছে ব্রিটেনের আদালত। ফলে ভারতে প্রত্যর্পণের বিষয়টি আদালতে বার বার ধাক্কা খেয়েছে। তবে এ বার সেই আপত্তি যাতে না তোলা হয়, তা নিশ্চিত করেছেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। তাঁরা আদালতে জানিয়েছেন, হেফাজতে থাকাকালীন কোনও অভিযুক্তকে অবৈধ জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না।
আরও পড়ুন:
বর্তমানে ভারতের ১৭৮টি প্রত্যর্পণের অনুরোধ বিদেশে বিচারাধীন। তার মধ্যে ২০টি অনুরোধ ঝুলে রয়েছে ব্রিটেনের আদালতে। সেই তালিকায় রয়েছেন ৯০০০ কোটির আর্থিক তছরুপে অভিযুক্ত পলাতক ব্যবসায়ী বিজয় মাল্য, পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) কেলেঙ্কারির অন্যতম অভিযুক্ত নীরব মোদীরা। ২০১৬ সাল থেকে ব্রিটেনে রয়েছেন মাল্য। অন্য দিকে, ২০১৮ সালে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে লোন প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন নীরব। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হওয়ার পরেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। ইডি তাঁকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করে। ২০১৯ সালে ব্রিটেনে গ্রেফতার করা হয়েছিল নীরবকে। সেই থেকে তিনি লন্ডনের জেলে বন্দি।