তারা বিবস্ত্র হয়ে আসছে। একা মহিলা দেখলেই টেনে জঙ্গলে নিয়ে যাচ্ছে। ‘ন্যুড গ্যাং’-এর আতঙ্কে এখন ত্রস্ত উত্তরপ্রদেশের মেরঠ। সেখানের একটি গ্রামে পর পর এমন ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে। শেষমেশ সেই ‘ন্যুড গ্যাং’-কে ধরতে গ্রামে পাহারার ব্যবস্থা করা হল পুলিশের তরফে। শুধু তা-ই নয়, পাহারা এবং নজরদারির পাশাপাশি ড্রোন উড়িয়েও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত ওই গ্যাংয়ের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ, বা সন্দেহভাজন কারও হদিসও মেলেনি।
গত কয়েক দিন ধরেই মেরঠের দাউরালা গ্রামে ‘ন্যুড গ্যাং’ তাণ্ডব চালাচ্ছে বলে দাবি স্থানীয় লোকজনের। গ্রামের মহিলাদের দাবি, বিবস্ত্র অবস্থায় আসছেন ওই গ্যাংয়ের সদস্যেরা। তার পর মহিলাদের তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। একটি নয়, এ রকম পর পর কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি গ্রামবাসীদের। আর পর পর একই রকম ঘটনা ঘটতে থাকায় গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। মহিলারা বাড়ির বাইরে বেরোতে সাহস পাচ্ছেন না। একেবারে ঘরবন্দি হয়ে কাটাতে হচ্ছে তাঁদের।
আরও পড়ুন:
পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি তাদের কাছে অভিযোগ আসে, এক মহিলা দাউরালার পাশের গ্রামে কাজে যাচ্ছিলেন। একাই ছিলেন তিনি। হঠাৎ জঙ্গলের ভিতর থেকে কয়েক জন এসে তাঁকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ওই মহিলার দাবি, যাঁরা তাঁকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তাঁদের কারও পরনে পোশাক ছিল না। মহিলা চিৎকার শুরু করতেই স্থানীয়েরা ছুটে আসেন। তখন তিনি তাঁদের বিষয়টি জানান। আশপাশের জঙ্গলে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি।
গ্রামবাসীদের দাবি, এর আগেও তিনটি এমন ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা হয়নি। কিন্তু পর পর একই রকম ঘটনায় আতঙ্ক বেড়েছে। তার পরই তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। দারাউলা গ্রামের প্রধান রাজেন্দ্র কুমার বলেন, ‘‘গ্রামবাসীরা প্রথমে বিষয়টিতে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছিলেন না। কিন্তু এখন গোটা গ্রাম ভয়ে কাঁপছে। ওই দলটি শুধুমাত্র মহিলাদেরই নিশানা করছে।’’ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা শুরু করেছে পুলিশও। শনিবার থেকে শুরু হয়েছে তল্লাশি। কয়েকটি দল গঠন করে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি ড্রোন দিয়েও নজরদারি চালানো হচ্ছে। মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য গ্রামে মহিলা পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার বিপিন টাড়া। তবে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, স্থানীয় কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। অনেকে আবার এটিকে গুজব বলেই মনে করছেন।