বিয়ের বয়স মাত্র এক বছর। কিন্তু দাম্পত্য কলহ এতটাই তীব্র হয় যে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে দিদির শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন স্বপ্না শঙ্কর। শনিবার সেখানে গিয়ে হাজির হন স্বামী রবি শঙ্কর। তার পর আলোচনার নাম করে একটি ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে স্ত্রীকে খুন করলেন তিনি। রক্তে ভেসে যাওয়া দেহের পাশে বসে রবি নিজেই ফোন করে ডাকলেন পুলিশকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মেরঠে।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সকালে রবি নামে ওই অভিযুক্ত ফোন করেন থানায়। জানান, স্ত্রীকে খুন করে ফেলেছেন। ঠিকানা দিয়ে শান্ত গলাতেই পুলিশকে রবি বলেন, তিনি অপেক্ষা করছেন। তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়া হোক।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশকর্মীরা দেখেন গোটা ঘর রক্তময়। বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক যুবতী। পাশে বসে স্বামী। উদ্ধার করা হয় দেহ। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় হাসপাতালে। অভিযুক্ত স্বামীকে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত পাঁচ মাস ধরে স্বপ্না নামে ওই অন্তঃসত্ত্বা তাঁর দিদি পিঙ্কির শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন। কারণ, স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না তাঁর। অন্য দিকে, পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে বিয়ে হয়েছিল রবি এবং স্বপ্নার। সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সঙ্গে সব কিছু মিটমাট করে নেওয়ার নাম করে সকালে শ্যালিকার বাড়িতে হাজির হন রবি। সকলে অবাক হয়েছিলেন। তবে স্বামী-স্ত্রী আলোচনা করে যদি নিজেদের মধ্যে মিটমাট করে নেন, সেই আশাই করেছিলেন। রবি জানান, তাঁদের স্বামী-স্ত্রীকে কিছু ক্ষণের জন্য আলাদা ছেড়ে দেওয়া হোক। নিজের ঘর ছেড়ে দেন পিঙ্কি।
আরও পড়ুন:
অভিযোগ, ঘরে ঢুকে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন রবি। তার কিছু ক্ষণ পরেই স্বপ্নার তীব্র আর্তনাদ ভেসে আসে। সকলে দরজায় ধাক্কা দেন। কিন্তু দরজা খোলেনি। মিনিট ২৫ পরে পুলিশ যায় ওই বাড়িতে। তখন দরজা খোলেন রবি। জানান, স্ত্রীকে খুন করেছেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে ছুরি দিয়ে যুবতীর গলা কেটে দেন স্বামী। তার পর সারা শরীরে অনেকগুলো কোপ বসিয়েছেন। কিছু ক্ষণের মধ্যে অকুস্থলেই মৃত্যু হয় স্বপ্নার। ঠিক কী কারণে এই কাণ্ড ঘটালেন রবি, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ধৃতের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। রবিবার তাঁকে হাজির করানো হবে আদালতে।