৮ বছরের বালিকাকে ধর্ষণ করে খুনে দোষী সাব্যস্ত ১৯ বছরের প্রতিবেশী তরুণ। মামলার ২৫ দিনের মাথায় অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করল উত্তরপ্রদেশের ফিরোজ়াবাদের পকসো আদালত। শুক্রবার আদালতের নির্দেশ, শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত কারাগারে থাকবেন দোষী। পাশাপাশি পুলিশের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচানোর চেষ্টার জন্য বাবা-মাকেও ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। ভাইকে আড়াল করার চেষ্টার জন্য একই সাজা পেয়েছেন ২২ বছরের দাদা।
গত জুন মাসে উত্তরপ্রদেশের হাথরসে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। স্কুলের গরমের ছুটিতে মেয়েটি দিদার বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল। সেখানেই ধর্ষিতা হয় মেয়েটি। আদালত সূত্রে খবর, দিদার বাড়ির সামনে খেলতে খেলতে মেয়েটি নিখোঁজ হয়ে যায়। পুলিশি তদন্তে উঠে আসে, পাশের বাড়ির এক তরুণ মেয়েটিকে কাছের একটি দোকান থেকে খাবার কিনে আনার জন্য পাঠিয়েছিলেন। তাঁকে পাকড়াও করেছিল পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে একটি অস্ত্র এবং শিশুটির গলার হার উদ্ধার হয়। পুলিশি জেরায় যুবক স্বীকার করে নেন অপরাধের কথা।
অভিযুক্তকে জেরা করে মেয়েটির দেহ পাওয়া যায় বাড়ি থেকে দূরে ইটের স্তূপের মধ্যে। তদন্তে উঠে আসে ভাইয়ের কাণ্ডের কথা জানার পরে দেহ সরানোর জন্য তাঁকে ওই ‘উপদেশ’ দিয়েছিলেন তিন বছরের বড় দাদা। তাঁদের বাবা-মা জানতেন অপরাধের কথা। তাঁরাও ঘটনার কথা বেমালুম চেপে গিয়েছিলেন। সবাইকেই গ্রেফতার করা হয়। মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইন-সহ ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস)-র ৬৫-২ (১৬ বছরের নীচে কাউকে ধর্ষণ), ৬৬ (আক্রমণে মৃত্যু ঘটনো) ইত্যাদি ধারায় মামলা দায়ের হয়।
আরও পড়ুন:
যুবকের বাবা-মা এবং দাদার বিরুদ্ধেও পকসো-সহ বেশ কিছু ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, পুরো ঘটনার তদন্ত শেষ করতে তাদের ৪৪ দিন লেগেছে। আর তার মধ্যে আদালতে ওই মামলা উঠেছিল। ২৫ দিনের মধ্যে শাস্তি ঘোষণা করেন স্পেশ্যাল পকসো আদালতের বিচারক মমতাজ আলি। তিনি চার জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন গত বুধবার। আজীবন কারাবাস ছাড়াও ১৯ বছরের দোষীকে ১.৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন। তাঁর দাদা এবং বাবা-মা প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন।