জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ অনুসারে গত এপ্রিলে মহারাষ্ট্রের মরাঠি এবং ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলিতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দিকে বাধ্যতামূলক তৃতীয় ভাষা হিসেবে ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু বিতর্ক দানা বাঁধায় মরাঠা ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস বিষয়টি নিয়ে ‘ধীরে চলো নীতি’ গ্রহণের বার্তা দিলেন।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার জানিয়েছেন, সোমবার রাতে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তৃতীয় ভাষা হিসেবে হিন্দিকে বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষের সঙ্গে কথা বলে আমরা এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’’ প্রসঙ্গত, আগে মহারাষ্ট্রের মরাঠি এবং ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলিতে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত কেবল মরাঠি এবং ইংরেজি বাধ্যতামূলক ভাষা হিসেবে পড়ানো হত। এপ্রিল মাসের নির্দেশিকায় সেই তালিকায় জুড়েছিল হিন্দি। নতুন ওই নির্দেশিকাকে মরাঠি ‘অস্মিতায় আঘাত’ বলেই কটাক্ষ করেছিল বিরোধীরা।
আরও পড়ুন:
জাতীয় শিক্ষানীতিতে তিনটি ভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদানের কথা বলা হয়েছে। তবে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে, কোনও রাজ্যের উপরে কোনও ভাষা চাপিয়ে দেওয়া হবে না। যদিও এর আগে তামিলনাড়ুতও বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছিল। এর আগে ফডণবীস সরকার জানিয়েছিল, ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকেই প্রথম শ্রেণির জন্য নতুন পাঠ্যক্রম কার্যকর করা হবে। কিন্তু এ বার পিছু হটল বিজেপি-শিন্ডেসেনা-এনসিপি(অজিত) জোট সরকার।