একনাথের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী শিবির
মহারাষ্ট্রের সরকারকে বিপাকে ফেলা বিদ্রোহী বিধায়কদের অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। তাঁরা শিবসেনাও ছাড়তে চান না। তবে যে পরিকল্পনা নিয়ে ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করা হয়েছিল, শিবিরে দুই-তৃতীয়াংশ বিধায়ক জুটে যাওয়ায় এখন সেই লক্ষ্যেই ঝাঁপানো হবে। শনিবার ‘মহা বিকাশ আঘাডী’ সরকারকে এমনই বার্তা দিলেন একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী শিবিরের অন্যতম নেতা দীপক কেসারকর। তিনি স্পষ্ট করে দিলেন, ‘‘একনাথ শিন্ডেই আমাদের নেতা।’’
কেসারকর বলেন, ‘‘আমরা শিবসেনার মধ্যেই আছি। কিন্তু কখনও কখনও বিধায়কদের কিছু প্রত্যাশা থাকে। আমরা দলীয় সভাপতিকে জানিয়ে দিয়েছি, আমরা যাদের সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে লড়েছি, তাদের সঙ্গেই থাকতে চাই। আমরা মনে করি, উদ্ধব ঠাকরে আমাদের কথা শুনবেন। এত জন যখন আমাদের সঙ্গে রয়েছেন, তা হলে নিশ্চয়ই এটা বড় ব্যাপার।’’
রাজ্যের রাজনৈতিক টানাপড়েন নিয়ে বিভিন্ন জল্পনার মধ্যেই শনিবার শোনা যায়, ‘শিবসেনা (বালাসাহেব)’ নামে পৃথক একটি গোষ্ঠী হিসাবে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় স্বীকৃতির দাবি জানাতে চলেছেন ৩৮ জন বিদ্রোহী বিধায়ক। এ নিয়ে কেসারকর বলেন, ‘‘একটা ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে যে আমরা দল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছি। আমাদের হাতে দুই-তৃতীয়াংশ বিধায়ক রয়েছেন। ফলে আমরা যা চেয়েছিলাম, সেই লক্ষ্যেই এগোব। সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল বলেই আমরা আমাদের নেতাকে বেছে নিয়েছি। ওঁদের তো ১৬-১৭ জন বিধায়কও নেই।’’
প্রসঙ্গত, শনিবার সকালেই কেসারকর বলেছিলেন, ‘‘আমার মহারাষ্ট্র বিধানসভায় শিবসেনা (বালাসাহেব) নামে পৃথক গোষ্ঠী হিসাবে স্বীকৃতি চেয়ে আবেদন জানাব। অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমরা মিশে যাব না। বালাসাহেব ঠাকরের আদর্শের প্রতি দায়বদ্ধতা রেখেই শিণ্ডের নেতৃত্বে কাজ করবে নতুন গোষ্ঠী।’’ এ দিকে, এর পরেই বালাসাহেব এবং দলের নামে যাতে কোনও গোষ্ঠীর নামকরণ না করা হয়, তার আবেদন জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে উদ্ধব নেতৃত্বাধীন শিবসেনা। ঘটনাচক্রে, শনিবারই বিকেল নাগাদ কেসারকর জানালেন, তাঁদের গোষ্ঠীর জন্য কোথায় ভিন্ন নামের আবেদন করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy