উদ্ধব ঠাকরে এবং একনাথ শিন্ডে। ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্র সরকারের পর এ বার ঠাণে পুরসভার দখল হাতছাড়া হল উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার। বৃহস্পতিবার ওই পুরসভার ৬৭ জন শিবসেনা কাউন্সিলরের (মহারাষ্ট্রে যাঁদের কর্পোরেটর বলা হয়) ৬৬ জনই যোগ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের গোষ্ঠীতে। শিন্ডে শিবিরের দাবি, শীঘ্রই মুম্বই-সহ বিভিন্ন পুরসভার আরও কিছু শিবসেনা কর্পোরেটর তাঁদের সঙ্গী হতে চলেছেন।
সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদানের আগে এক সময়ে ঠাণে শহরে অটো চালিয়েছেন শিন্ডে। থাকতেন শহরে টালির চালের একটি ছোট্ট ঘরে। আশির দশকে বালাসাহেব ঠাকরের ঘনিষ্ঠ শিবসেনা নেতা আনন্দ দীঘের হাত ধরে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ১৯৯৭ সালে ঠাণে পুরসভার নির্বাচনে জিতেই ভোট-রাজনীতিতে শিন্ডের প্রবেশ। ২০০৪ সালে প্রথম মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটেও জেতেন ঠাণেরই কোপরী-পাচরপাখাডী কেন্দ্র থেকে। সেই থেকে টানা চার বারের বিধায়ক তিনি। ফলে ওই শহরে তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব প্রশ্নাতীত।
মহারাষ্ট্রে ক্ষমতার পালাবদলের পর ‘অটো চালানোর অতীত’ নিয়ে শিন্ডেকে কটাক্ষ করেছিলেন উদ্ধব। বুধবার তার জবাব দেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘মার্সিডিজকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে অটোরিকশা।’’ ঘটনাচক্রে, বুধবারই শিবসেনার সংসদীয় দলে ভাঙনের আঁচ পেয়ে উদ্ধব শিবির তড়িঘড়ি শিন্ডে শিবিরের ঘনিষ্ঠ ভাবনা গওলীকে সরিয়ে লোকসভার চিফ হুইপ হিসেবে মনোনীত করে রাজন বিচারেকে। ঠাণের সাংসদ রাজন শিবসেনার অন্দরে শিন্ডে-বিরোধী হিসেবেই পরিচিত।
উদ্ধব শিবিরের এই ‘তৎপরতার’ পরেই শিবসেনার হাতছাড়া হল ঠাণে। শিবসেনার দখলে থাকা পুরসভাগুলির মধ্যে ঠাণে ছিল দ্বিতীয় বৃহত্তম। বৃহন্মুম্বই পুরসভার পরেই। সেখানে শিন্ডে শিবিরের নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব রাজনৈতিক ভাবে উদ্ধব শিবিরকে আরও কোণঠাসা করে ফেলল বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy