বিধায়ক প্রকাশ সোলাঙ্কির বাড়িতে তখনও জ্বলছে আগুন। সোমবার। মহারাষ্ট্রের বিড়ে। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
পরিবারের সঙ্গে বাড়িতে সময় কাটাচ্ছিলেন বিধায়ক। দিনদুপুরে আচমকাই সেই বাড়িতে চড়াও হলেন একদল মানুষ। প্রথমে বাড়ির জানলা-দরজা লক্ষ্য করে ইট-পাথর নিক্ষেপ করতে শুরু করলেন তাঁরা। তার পরে চিৎকার চেঁচামেচি, বিধায়কের নাম ধরে ডাকাডাকির মধ্যেই হঠাৎ বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন কেউ। দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে সুসজ্জিত সাদা দোতলা বাংলো বাড়িটি। নীচে দাঁড়িয়ে সেই দৃশ্য দেখতে থাকেন বিক্ষোভকারী জনতা।
সোমবার মহারাষ্ট্রের বিড় জেলায় বিধায়ক প্রকাশ সোলাঙ্কির বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রের কোটা আন্দোলন নিয়ে সম্প্রতি বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন বিধায়ক। সোমবারের ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে তাঁকে ‘শিক্ষা’ দিতেই।
সংরক্ষণের দাবিতে গত বেশ কিছু দিন ধরেই আন্দোলন চলছে মহারাষ্ট্রে। মরাঠা সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষণ চেয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অনশনে বসেছেন আন্দোলনের নেতা মনোজ জারাঙ্গে পাটিল। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের শাসক এবং বিরোধী দু’পক্ষই মারাঠাদের দীর্ঘদিনের দাবি, সংরক্ষণ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এবং উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এ ব্যাপারে কথা দিলেও শেষ পর্যন্ত কথা রাখেননি। বরং বার বার পিছিয়ে দিয়েছেন সংরক্ষণ সংক্রান্ত আইন তৈরির প্রক্রিয়া। মনোজের দাবি, কোনও বিশেষ ক্ষমতাবানের অঙ্গুলিহেলনেই শাসকদল এই সংরক্ষণের আইনটি কার্যকর করতে চাইছে না। এর মধ্যেই মহারাষ্ট্রের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপির) তথা শরদ পাওয়ারের দলের বিধায়ক প্রকাশ ওই সংরক্ষণ আন্দোলন নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ সংরক্ষণ আন্দোলনের অন্যতম নেতা মনোজকে নিয়ে কু-মন্তব্য করেন এনসিপি বিধায়ক। তার জেরেই সোমবারের ঘটনা। বিধায়কের বাড়িতে আগুন লাগানোর পর সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল, তাঁর সঙ্গে। বিধায়ক প্রকাশ বলেন, ‘‘যখন হামলা হয় আমি এবং আমার পরিবার বাড়ির ভিতরেই ছিলাম। তবে সৌভাগ্যের কথা হল, আমি বা আমার পরিবার কিংবা আমার বাড়ির কর্নীরা কেউই এই ঘটনা জখম হননি। নিরাপদে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলাম আমরা। তবে সম্পত্তির প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কতটা তা এথনও জানা নেই আমার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy