মৃত শিক্ষিকা। ফাইল চিত্র।
স্বামী বিদেশে থাকেন। ছুটি কাটাতে সদ্য ঘরে ফিরেছেন। তাই স্বামীর সঙ্গে ছুটি কাটানোর পরিকল্পনা ছিল মহারাষ্ট্রের মালাডের জেনেল ফার্নান্ডেজের। কিন্তু, শুক্রবার কয়েক মুহূর্তে সেই সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন মালাডের বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ওই শিক্ষিকা। লিফটে আটকে মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে জেনেলের। তাঁর অকালপ্রয়াণ কিছুতেই মানতে পারছেন না পরিজনরা।
২৬ বছর বয়সি জেনেল পশ্চিম মালাডের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষিকা হিসাবে কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিনের মতো শুক্রবারও স্কুলে পড়ুয়াদের ক্লাস নিচ্ছিলেন তিনি। দুপুর ১টা নাগাদ স্কুলের সপ্তম তলায় ক্লাস নেওয়ার পর শিক্ষকদের ঘরে যাওয়ার জন্য লিফটে উঠেছিলেন। আর তাই কাল হল। লিফটে উঠতে গিয়ে আটকে যায় শরীর। সেই অবস্থাতেই চলতে শুরু করল সেটি। দেওয়াল এবং লিফটের মধ্যে আটকে যান ওই তরুণী শিক্ষিকা। তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্কুলের নিরাপত্তারক্ষী এবং পড়ুয়ারা। তাঁকে তড়িঘড়ি স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি করার পরই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মহারাষ্ট্রের নালাসোপারার ওয়াঘোলিতে বাড়ি জেনেলের। এক ইংরাজি দৈনিককে জেনেলের শ্বশুরমশাই বলেছেন, ‘‘এক যুবকের থেকে দুর্ঘটনার খবর পাই। স্কুলের মধ্যে ঠিক কী ঘটেছিল, এখনও বুঝতে পারছি না।’’ স্ত্রীকে হারিয়ে শোকে পাথর জেনেলের স্বামী বনিফেস। ইউরোপে বাণিজ্যিক জাহাজে কর্মরত তিনি। জেনেলের এক আত্মীয় বলেছেন, ‘‘গত বছরই ওদের বিয়ে হয়েছিল। বনিফেস কয়েক সপ্তাহের ছুটিতে বাড়ি এসেছেন। একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল ওদের।’’
চলতি বছরের জুন মাসে ওই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে শিক্ষিকা হিসাবে যোগ দেন জেনেল। তার আগে নালাসোপারায় প্রায় পাঁচ বছর শিক্ষকতা করেছেন। শনিবার ওই শিক্ষিকার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে যোগ দিয়েছেন তাঁর স্কুলের অন্য শিক্ষিকারাও।
লিফটে আটকে ঠিক কী ভাবে মৃত্যু হল ওই শিক্ষিকার, এ নিয়ে ধন্দে পুলিশ। মালাড পুলিশের সিনিয়র ইনস্পেক্টর রবি আদানে বলেছেন, ‘‘পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ররা লিফটটি পরীক্ষা করে দেখে রিপোর্ট দেবেন। তার পরই যাচাই করে দেখব, কোনও গাফিলতি রয়েছে কি না।’’ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই ঘটনা নিয়ে স্কুলের প্রিন্সিপালের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy