প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের সঙ্গে মমতার বৈঠক একেবারেই ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ ছিল বলে তৃণমূল শিবিরের দাবি। —ফাইল চিত্র।
প্রথমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের দরবার কি রাজনীতিকদের নতুন ‘তীর্থক্ষেত্র’ হয়ে উঠছে! মঙ্গলবার রাতে মমতা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পরে খাস দিল্লিতে এ নিয়ে জোর আলোচনা চলছে।
মমতা এ বার দিল্লিতে এসেই বলেছিলেন, যে ভাবে মোদী জমানায় সিবিআই থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতো প্রতিষ্ঠানের উপর হামলা চলছে, তাতে রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতির কাছে দরবার করতে হবে। তবে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের সঙ্গে মমতার এ বারের বৈঠক একেবারেই ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ ছিল বলে তৃণমূল শিবিরের দাবি। প্রধান বিচারপতি হওয়ার পরেই মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। ডেরেক ও’ব্রায়েন ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে ফুল নিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে এসেছিলেন।
কিছু দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সুপ্রিম কোর্টে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে তাঁর এজলাস দেখতে চেয়েছিলেন। এজলাসে গিয়ে, ঘুরে দেখে, চা খেয়ে, অনেক ক্ষণ সময় কাটিয়ে আসেন তিনি। তখনই প্রশ্ন উঠেছিল, প্রধান বিচারপতির এজলাসেই যখন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে রাফাল-এর মতো স্পর্শকাতর মামলা ঝুলছে, তখন এই সাক্ষাৎ কতখানি ন্যায়সম্মত?
প্রবীণ আইনজীবীদের মত ছিল, সাংবিধানিক পদের মর্যাদা রক্ষা করার দায়িত্ব রাজনীতিকদেরও নিতে হবে। বিচারপতিদের থেকে সম্মানজনক দূরত্ব বজায় রাখা উচিত তাঁদেরও। যাতে প্রভাব খাটানোর চেষ্টারও অভিযোগ না ওঠে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কুরিয়েন
জোসেফ অবশ্য যুক্তি দেন, ‘‘প্রধান বিচারপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ সৌজন্যমূলক ছিল। সে সময়ে আরও অনেকেই হাজির ছিলেন। তা ছাড়া দু’জনেই নিজেদের গণ্ডি জানেন।’’
তৃণমূল শিবিরেরও দাবি, মমতা যেমন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করেছেন, তেমনই নতুন দায়িত্বে আসা মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার সঙ্গে দেখা করেও তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এসেছেন। এর মধ্যে অন্য অর্থ খোঁজার কোনও কারণ নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy