Advertisement
E-Paper

রাজ্যে রাজ্যে যৌথ জনসভার প্রস্তাব মমতার

শুক্রবার বিরোধী দলগুলির বৈঠকে একই সঙ্গে তাঁর প্রস্তাব, দিল্লির পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যের রাজধানীতেও বৈঠকে বসুন বিরোধী নেতৃত্ব।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৭ ০৩:২২
কথোপকথন: বৈঠকের পরে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর মুখোমুখি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দিল্লিতে। —নিজস্ব চিত্র।

কথোপকথন: বৈঠকের পরে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর মুখোমুখি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দিল্লিতে। —নিজস্ব চিত্র।

তিন বছরের নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভের সুর চড়ছে রাজ্যে রাজ্যে। এটাকেই কাজে লাগিয়ে মোদী তথা বিজেপির বিরুদ্ধে রাজ্যে রাজ্যে যৌথ জনসভার প্রস্তাব দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিরোধী দলগুলির বৈঠকে একই সঙ্গে তাঁর প্রস্তাব, দিল্লির পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যের রাজধানীতেও বৈঠকে বসুন বিরোধী নেতৃত্ব।

সংসদের অ্যানেক্স ভবনে বিরোধীদের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, একটি ছোট সমন্বয় কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির সদস্যরা বিরোধী নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কর্মসূচি তৈরি করবেন।

শুক্রবারের বৈঠকে বিরোধী জোটের মুখ হয়ে উঠেছিলেন মমতাই। তাঁর প্রস্তাবগুলি নিয়ে অনেকেই উৎসাহিত। বৈঠকে মমতা ছাড়াও সনিয়া গাঁধী, আহমেদ পটেল, গুলাম নবি আজাদ, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের ডি রাজা, বসপা-র সতীশ মিশ্র, সপা-র নরেশ অগ্রবাল, আরজেডি-র জয়প্রকাশ যাদব-সহ মোট ১৬টি দলের নেতা এসেছিলেন। কিছুটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই নীতীশের দলের বিক্ষুব্ধ নেতা আলি আনওয়ার বৈঠকে যোগ দেওয়ায় খুশি বিরোধীরা। তবে তাঁদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে শরদ পওয়ারের এনসিপি-র অনুপস্থিতি।

বৈঠকের পরে মমতাকে পাশে নিয়ে মজবুত বিরোধী ঐক্যের ছবি দেখাতে চেয়েছেন সনিয়া। বৈঠক শেষে বাইরে এসে মমতা নিজে অবশ্য কিছু না বলে এগিয়ে দেন জোটের তরফে দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখপাত্র গুলাম নবি আজাদকে। সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে মমতা বলেন, বিজেপি-র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রে জনসভা করা হোক। তামিলনাড়ুতে কৃষকদের সমস্যাকে সামনে রেখে এবং মহারাষ্ট্র তথা মুম্বইয়ে অর্থনীতির ক্ষেত্রে ক্ষোভের জায়গাগুলিকে তুলে ধরে জনসভার প্রস্তাব দেন মমতা। উত্তরপ্রদেশে মায়াবতী এবং অখিলেশ যদি এক মঞ্চে এসে বিজেপি-র বিরুদ্ধে জনসভা করতে পারেন, তা হলে তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলেই মনে করছে বিরোধী শিবির।

আরও পড়ুন: বৃদ্ধি ঢিমে, সঙ্কুচিত শিল্প, ভরসা সেই সুদ ছাঁটাই!

গুলাম নবি বলেন, ‘‘সংসদে সাম্প্রদায়িক হিংসা, কৃষক আত্মহত্যা, গো-রক্ষাবাহিনীর তাণ্ডব— বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধীরা নিজেদের মধ্যে সমন্বয় বজায় রেখে চলেছে। আগামী প্রায় সাড়ে তিন মাস অধিবেশন বসবে না। এই লম্বা সময়ে বিরোধীরা কী কী বিষয় নিয়ে এগোবেন, তা নিয়ে আজ সবাই মতামত জানিয়েছেন। স্থির হয়েছে, কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গাঁধী একটি ছোট সমন্বয় কমিটি তৈরি করবেন। সেই কমিটি সব নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে।’’

২৭ অগস্ট পটনায় লালু প্রসাদ একটি জনসভায় যাওয়ার জন্য বিরোধী নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ওই সভায় যাবেন মমতা। গুলাম নবি জানিয়েছেন, যে নেতারা ওই সময়ে ফাঁকা থাকবেন, তাঁরা ওই সভায় যোগ দেবেন। বিষয়টি নিয়ে কিছুটা ফাঁপড়ে পড়েছে সিপিএম। লালু বা সনিয়া-র সঙ্গে যৌথ ভাবে মোদী বিরোধী আওয়াজ তুলতে তারা আগ্রহী। কিন্তু মমতার সঙ্গে এক মঞ্চ ভাগ করে নেওয়াটাও যথেষ্ট অস্বস্তির। ইয়েচুরি পরে বলেন, পটনার সভায় সিপিএম যাওয়া নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

Sonia Gandhi Mamata Banerjee মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় Trinamool Congress BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy