Advertisement
০২ এপ্রিল ২০২৩
জারি ভোগান্তি, তরজাও

মোদীকে রুখতে ভারত পরিক্রমা মমতার

নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় আজ রাষ্ট্রপতি ভবন অভিযানের পর এ বার খোদ নরেন্দ্র মোদীর গড়ে হানা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

জয়ন্ত ঘোষাল
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৬ ০৪:২১
Share: Save:

নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় আজ রাষ্ট্রপতি ভবন অভিযানের পর এ বার খোদ নরেন্দ্র মোদীর গড়ে হানা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদী সরকারের ‘জনবিরোধী’ পদক্ষেপগুলি মানুষের সামনে তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীতে গিয়ে সভা করবেন তিনি।

Advertisement

যাবেন প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্য গুজরাতের গাঁধীনগরেও। দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিমে মমতার ‘ভারত পরিক্রমা’ কর্মসূচি এ মাসের শেষ পর্ব থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে। প্রথম সভা হবে আগামী ২৪ নভেম্বর— বারাণসী বা লখনউয়ে। আজ গভীর রাত পর্যন্ত এই কর্মসূচি ঠিক করতে ঘনিষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন মমতা। এই পরিকল্পনার জন্যই মুখ্যমন্ত্রীর আসন্ন ব্যাঙ্কক সফর বাতিল হতে পারে। এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়েছে, বারাণসী, লখনউ, পটনার সভাগুলি যত দ্রুত সম্ভব করা হবে। গাঁধীনগর, শ্রীনগরের সভা হবে জানুয়ারির শেষে।

কাল দিল্লির আজাদপুর মাণ্ডি এলাকার জনসভায় নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাবেন মমতা ও অরবিন্দ কেজরীবাল। দিল্লির সব থেকে বড় পাইকারি সব্জি বাজার ও বৃহত্তম পরিবহণ হাবে মমতা-কেজরী এই জনসভা করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। নোট-আকালের সময়ে অসুবিধায় পড়া ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়াতেই এই কর্মসূচি। তবে ‘ভারত যাত্রা’-র আগে একে একটা মহড়া হিসেবেই দেখা হচ্ছে। দিল্লির সভায় মানুষ কী ভাবে সাড়া দেন, তা দেখতে চাইছেন মমতা।

কেজরীবাল চেয়েছিলেন, তিনি ও মমতা মিলে বিভিন্ন শহরে সভা করবেন। কিন্তু মমতা তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিতে চান। মমতার মতে, এখানে কোনও জোট তৈরি হচ্ছে না। কে নেতৃত্ব দেবেন— সেটাও কোনও বিষয় নয়। তাই কংগ্রেস চাইলে তারাও ওই সব সভায় থাকতে পারে। নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পরে রাহুল গাঁধীকে টেলিফোন করেছিলেন মমতা। কংগ্রেস এই বিষয় নিয়ে আলাদা ভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে ঠিকই, তবে আজ রাষ্ট্রপতি ভবনে মমতার সঙ্গে যেতে রাজি হয়নি। সিপিএম, বিএসপি, সপার মতো দলও যায়নি। তৃণমূল নেতৃত্ব যতটা আশা করেছিলেন, মমতার আজকের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বিভিন্ন দলের তরফে ততটা সমর্থন দেখা যায়নি। তবুও কেন এখনই ‘ভারত পরিক্রমা’ নিয়ে এগোচ্ছেন মমতা?

Advertisement

তৃণমূল সূত্রের মতে, লোকসভা ভোটের আগে জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস ও বিজেপি-র বিকল্প ভাবনা তুলে ধরে ফেডারেল ফ্রন্ট গড়ার ডাক দিয়েছিলেন নেত্রী। কিন্তু অন্না হজারে দিল্লিতে তাঁর কর্মসূচিতে শেষ মুহূর্তে সামিল না হওয়ায় গোটা পরিকল্পনা ধাক্কা খেয়েছিল। এ বার তার দ্বিতীয় পর্বের শুরু হতে চলেছে। নতুন করে জাতীয় রাজনীতিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন মমতা। এই পর্বে তিনি কোনও ফ্রন্ট গঠনের কথা বলছেন না। তবে বিভিন্ন দলকে সামিল করে মোদী বিরোধী রাজনীতির জায়গাটিকে ব্যবহার করতে চাইছেন। মমতা যদিও বলছেন, মোদী সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরোধিতা করতেই মানুষের কাছে পৌঁছতে চান তিনি। সেখানে কেউ না এলে একাই পথ চলবেন।

কাশ্মীরের সভা নিয়ে ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লার সঙ্গে মমতার কথা হয়েছে। মুম্বইয়ে সভা হলে সাহায্য করতে পারে শিবসেনা। গুজরাতে বিজেপি-র অন্যতম প্রতিপক্ষ হার্দিক পটেল নোট বাতিলের বিষয়ে মমতাকে সমর্থন করে বার্তা পাঠিয়েছেন। এ ছাড়া ওই সব কটি রাজ্যেই আপের উপস্থিতি রয়েছে। তারাও মমতার সভা সফল করতে নামবে বলে আশা তৃণমূলের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.