Advertisement
E-Paper

পড়শি তরুণীকে আকৃষ্ট করতে প্যাঁচা মেরে তন্ত্রসাধনা!

কানহাইয়া পুলিশের কাছে দাবি করেন, এক দিন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আহত অবস্থায় একটি প্যাঁচাকে দেখতে পান। সেটাকে তুলে নিয়ে যান তিনি।  তার পর তন্ত্রসাধনা শুরু করেন সেটাকে নিয়ে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ১৩:০৫
গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

প্রতিবেশী এক তরুণীকে ভাল লাগত তাঁর। কী ভাবে নিজের প্রতি তাঁকে আকৃষ্ট করবেন সেই পরিকল্পনাই করতেন সর্বক্ষণ। অনেক চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি। অবশেষে সোশ্যাল মিডিয়ার শরণাপন্ন হয়েছিলেন বছর চল্লিশের কানহাইয়া।

কাউকে কী ভাবে বশ করা যায় বা নিজের প্রতি কাউকে আকৃষ্ট করা যায়, এ নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করা শুরু করেন। সেখান থেকে উপায়ও পেয়ে যান। সেখানে নাকি এমনটা বলা ছিল যে, কোনও প্যাচাঁকে যদি মেরে তন্ত্রসাধনা করা যায় তা হলেই এই সমস্যা মিটে যাবে! এর পরই কানহাইয়া প্যাঁচার খোঁজ শুরু করেন। তাঁকে অবশ্য বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। একটা প্যাঁচা পেয়েও যান।

কানহাইয়া পুলিশের কাছে দাবি করেন, এক দিন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আহত অবস্থায় একটি প্যাঁচাকে দেখতে পান। সেটাকে তুলে নিয়ে যান তিনি। তার পর তন্ত্রসাধনা শুরু করেন সেটাকে নিয়ে। এক পুলিশ অফিসার জানান, কানহাইয়ার ঘরে রাখা একটি কুলার থেকে প্যাঁচার দেহ পাওয়া গিয়েছে। সেটার ময়নাতদন্ত করার পর জানা গিয়েছে কানহাইয়া প্রথমে প্যাঁচার পা দুটো কেটে ফেলেন। তার পর সারা শরীরে সূঁচ ফোটান। ফলে প্যাঁচাটির হৃদযন্ত্র, ফুসফুস বিকল হয়ে যায়। মারাও যায় সেটি।

আরও পড়ুন: এই গ্রামের প্রতিটি পুরুষ দু’বার বিয়ে করেন! কারণ জানলে অবাক হবেন

কানহাইয়া পেশায় ট্রাক চালক। থাকেন দিল্লির সুলতানপুরীতে। বাড়িতে স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে। তাঁর এই কর্মকাণ্ডের কথা প্রতিবেশীরা ঘুণাক্ষরেও আঁচ পাননি। পরে যদিও কোনও ভাবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। খবরটা ভারতের পশুকল্যাণ বোর্ডেও পৌঁছয়। তারাই পুলিশকে খবর দেন। রবিবার পুলিশ কানহাইয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্যাঁচার দেহটি উদ্ধার করে। ওই দিনই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন: একই গ্রামে ৭ শবরের মৃত্যু লালগড়ে, জানলই না প্রশাসন!

জেরায় কানহাইয়া পুলিশের কাছে জানায়, পড়শি তরুণীকে তাঁর খুব পছন্দ হয়। তাঁকে আকৃষ্ট করতেই তন্ত্রসাধনার পথ বেছে নেয়। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে জানতে পারেন প্যাঁচার বিষয়টি। কিন্তু যে প্রশ্নটা পুলিশকে ভাবাচ্ছে তা হল, প্যাঁচা কোথা থেকে পেলেন কানহাইয়া। যদিও তিনি পুলিশের কাছে দাবি করেছেন আহত অবস্থায় রাস্তা থেকে প্যাঁচাটিকে তুলে নিয়ে এসেছিলেন। এখানেই সন্দেহ দানা বেঁধেছে পুলিশের মনে। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, কী ভাবে প্যাঁচা কানহাইয়ার কাছে এল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)

Delhi Black Magic Owl
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy