তিন বছরের ভাইঝিকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে কাকাকে। অভিযোগ, শিশুটির গলা কেটে খুন করেছেন তিনি। তার পর ঘরের মধ্যেই জ্বলন্ত স্টোভের উপর দেহটি ফেলে দিয়েছেন। পরে ঘরে ঢুকে মেয়ের জ্বলন্ত দেহ দেখতে পান বাবা-মা। শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন তাঁরা। ঘটনার পর গ্রামবাসীরা পুলিশকে খবর দেন। তারা এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
ছত্তীসগঢ়ের জশপুর জেলার ঘটনা। অভিযুক্তের নাম রামপ্রসাদ নাগ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের কারণেই প্রতিশোধ নিতে ভাইঝিকে খুন করেছেন তিনি। তবে গ্রামবাসীদের কেউ কেউ দাবি করছেন, এটি নরবলির ঘটনা। পুলিশ সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত শিশুর বাবা-মা বৃহস্পতিবার বিকেলে মাঠে গরু চরাতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ওই সময়ে শিশুটি একা ছিল। তখন তার কাকা ঘরে ঢোকেন। ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিশুর গলা কেটে দেন তিনি। ঘরে ওই সময়ে স্টোভ জ্বলছিল। ভাইঝির দেহ স্টোভের উপর ফেলে পালিয়ে যান অভিযুক্ত। বেশ কিছু ক্ষণ পরে তার বাবা-মা ফিরে আসেন। স্টোভের উপর জ্বলতে দেখেন মেয়ের দেহ। তাঁদের চিৎকারে লোকজন জড়ো হয়ে যায়।
শিশুর এই নৃশংস হত্যার কথা জানাজানি হতেই গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের একাংশের দাবি, তান্ত্রিকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন অভিযুক্ত। তাঁর কথাতেই হয়তো তন্ত্রসাধনার উদ্দেশ্যেই ভাইঝিকে বলি দিয়েছেন। খুনের ধরন দেখে অনেকেই এই কারণ বিশ্বাস করছেন। তবে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের মানসিক সমস্যা আছে। দাদার পরিবারের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়েও তাঁর বিবাদ ছিল। সেই কারণেই এই হত্যা বলে অনেকে মনে করছেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। সব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।