হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি। প্রতীকী ছবি।
গায়েহলুদের অনুষ্ঠান ঘিরে মেতেছিল গোটা পরিবার। আচমকাই সেই আনন্দের তাল কাটল। বরের পায়ে হলুদ লাগাতে গিয়ে আচমকাই জ্ঞান হারালেন এক যুবক। তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। পরের দিন সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। ঘটনাটি হায়দরাবাদের।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২০ ফেব্রুয়ারি কালা পাথর এলাকায় একটি বিয়েবাড়িতে গায়েহলুদের অনুষ্ঠানের সময় মহম্মদ রব্বানি নামে ৪০ বছরের এক যুবক সংজ্ঞা হারান। তিনি একটি গয়নার দোকানের কর্মচারী। এই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, গায়েহলুদের অনুষ্ঠান উপলক্ষে পরিজনদের সঙ্গে খোশমেজাজে রয়েছেন রব্বানি। সবার সঙ্গে মজা করছেন, হাসছেন। এর পর হলুদ মাখানোর জন্য সামান্য ঝোঁকেন রব্বানি। তার পরই জ্ঞান হারিয়ে ঘরের মেঝেয় পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে রব্বানিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরের দিন, অর্থাৎ গত ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু বলে দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনার জেরে বিয়ের অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে।
একই রকম ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবারও। জিমে শরীরচর্চা করার সময় ২৪ বছর বয়সি বিশাল নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে। সাম্প্রতিক কালে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর একাধিক ঘটনা খবরের শিরোনামে এসেছে। গত ২৫ নভেম্বর বারাণসীতে একটি বিয়েবাড়িতে নাচতে নাচতে আচমকা মৃত্যু হয় ৪০ বছর বয়সি এক ব্যক্তির। তিনিও হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বলে জানান চিকিৎসকরা। মধ্যপ্রদেশে বাস চালাতে চালাতেই আচমকা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক চালক। স্টিয়ারিংয়ের উপর ঢলে পড়েন তিনি। নিয়ন্ত্রণহীন বাস তার পর সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা একের পর এক গাড়িতে ধাক্কা মারে। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় এক পথচারীর, আহত হন একাধিক। কাটনির সাই মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় রাজেশ মেহানি নামে এক ব্যক্তির। মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার বাখারি গ্রামে বিয়েবাড়িতে গানের তালে নাচতে নাচতেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় এক বৃদ্ধার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy