বাড়িতে ছিল ছ’বছরের সন্তান। তার উপস্থিতিতেই স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন স্বামী। মায়ের সাড়া না পেয়ে দিদিমাকে ফোন করে জানিয়েছিল শিশুটি। তিনি নিজের কাছে থাকা চাবি দিয়ে দরজা খুলে মেয়ে এবং জামাইয়ের দেহ দেখতে পান। বেঙ্গালুরুর এই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক ভাবে তারা মনে করছে, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার কারণেই এই কাণ্ড। আত্মীয়দের দাবি, ৪০ বছরের সুরেশ ভি কাজ হারিয়ে অবসাদে ভুগছিলেন।
সুরেশ পেশায় অটোচালক ছিলেন। তাঁর স্ত্রী মমতা জি (৩২) একটি কাপড়ের কারখানায় কাজ করতেন। তাঁদের দুই পুত্রসন্তান। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার ১৪ বছরের বড় ছেলে মামার বাড়িতে গিয়েছিল। ছয় বছরের ছেলেটি বাড়িতেই ছিল। পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই শিশু মমতাকে গিয়ে বার বার ডাকার পরেও তাঁর সাড়া পাননি। এর পরেই সে দিদিমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। দিদিমা রুক্মিণীর বাড়ি কাছেই। তিনি ছুটে আসেন। নিজের কাছে থাকা চাবি দিয়ে দরজা খোলেন। বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে দেখেন, একটি ঘরে পড়ে রয়েছে মমতার নিথর দেহ। নাকের নীচে লেগে রয়েছে রক্ত। পাশের ঘরে জামাইয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান।
আরও পড়ুন:
রুক্মিনী এর পরে থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বিছানার চাদর গলায় জড়িয়ে খুন করা হয়েছে মমতাকে। আত্মীয়দের জেরা করে পুলিশ জেনেছে, ১৪ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল সুরেশ এবং মমতার। দু’মাস আগে বেঙ্গালুরুর কলিনগরে বাড়িটি ভাড়া নেন। গত কয়েক দিন ধরে তাঁদের প্রায়ই ঝামেলা হত বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। মমতার মায়ের দাবি, সুরেশের কাজ চলে গিয়েছিল। সে কারণে বাড়িতে প্রায়ই স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা করতেন। ঠিক কেন এই পদক্ষেপ, খোঁজ করছে পুলিশ।