Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

মনের কথা শোনাতে লড়াই শুরু কেজরীর

রবিবার নরেন্দ্র মোদীর রেডিও বার্তা ‘মন কি বাত’-এর ধাঁচেই এ বার ‘টক টু একে’ শুরু করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। আর আজ প্রথম অনুষ্ঠানেই নিশানায় রাখলেন সেই মোদীকেই।

 —ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৬ ০৩:২৮
Share: Save:

রবিবার নরেন্দ্র মোদীর রেডিও বার্তা ‘মন কি বাত’-এর ধাঁচেই এ বার ‘টক টু একে’ শুরু করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। আর আজ প্রথম অনুষ্ঠানেই নিশানায় রাখলেন সেই মোদীকেই।

দিল্লি সরকারের যাবতীয় সাফল্য তাঁর নিজের আর যাবতীয় ব্যর্থতা আজ নরেন্দ্র মোদীর কাঁধে ঠেলে দিয়েছেন কেজরীবাল। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্র দিল্লির রাজ্য সরকারের সঙ্গে যেন ভারত-পাকিস্তানের মতো সম্পর্ক তৈরি করেছে। এটা না হলে আরও চারগুণ কাজ করতে পারতেন তিনি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারকে কাজ করতে দিচ্ছেন না। আর মোদীর সেনাপতি অমিত শাহের বিরুদ্ধেও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন কেজরীবাল। তাঁর অভিযোগ, সিবিআই আসলে চালাচ্ছেন বিজেপি সভাপতি। তবে মানহানির মামলা থেকে বাঁচতে সুকৌশলে বলেছেন, ‘‘শুনছি অমিত শাহ নাকি সিবিআইয়ের খুঁটিনাটি পরিচালনা করছেন, যে সিবিআই আগে তাঁর পিছনে পড়ত।’’

কেজরীবাল মানেই বিতর্ক। নিজের তৈরি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে টানা দু’ঘন্টা সরাসরি কথা বলার মধ্যেও নিজের ছাপ রেখে গেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। প্রথম ৫০ মিনিট শুধু বলে গেলেন তাঁর সততার কথা, কী করে কম খরচে বিভিন্ন প্রকল্প করছেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কত জোর দিয়েছেন, তার ফিরিস্তি। আর ‘না হওয়া’ কাজের দায় চাপিয়ে দিলেন মোদী সরকারের ঘাড়ে।

প্রশ্ন ছিল, ভোটের প্রতিশ্রুতি মেনে দিল্লিতে ওয়াই-ফাই পরিষেবা দেওয়া হয়নি কেন? কেজরীর জবাব, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর ‘সৎ’ সচিব। তিনিই দেখছিলেন ওয়াই-ফাইয়ের কাজ। দিল্লিতে জল জমার দায়ও বিজেপি শাসিত পুরসভার উপরে চাপিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, মোদী সরকার তাঁর অফিসারদের বদলি করে দিচ্ছেন। সব ‘জনমুখী’ বিল আটকে রাখছে কেন্দ্র। অকারণে ভুয়ো মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে তাঁর দলের বিধায়কদের। সে জন্য কাজ আটকে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, দিল্লিকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দিতে একটি জনমত সমীক্ষা করাবেন তিনি। প্রতি মাসে জনতার দরবারও বসাতে চান। বিজ্ঞাপনের জন্য কাড়ি কাড়ি অর্থ খরচেরও ব্যাখ্যা দিয়েছেন কেজরীবাল। বলেন, দিল্লি সর্বদা গোটা দেশের নজরে থাকে। তাই দিল্লি সরকারের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় বিভিন্ন রাজ্যেও। দিল্লি বিজেপির সভাপতি সতীশ উপাধ্যায় কেজরীর প্রয়াসকে ‘নাটক’ আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘গোটা দেশ থেকে সাজানো প্রশ্ন নিয়ে আসর বসিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে দিল্লির আসল সমস্যা নিয়ে একটি প্রশ্নেরও জবাব দেননি তিনি। ’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

talk to ak kejriwal modi man ki baat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE