প্রায় এক বছর ধরে খোঁজ মিলছিল না যুবকের। শেষমেশ বাড়ির উঠোন থেকেই উদ্ধার হল তাঁর হাড়গোড়! সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের কানপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনায় যুবকের স্ত্রী ও ভাইপোকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, স্ত্রী এবং ভাইপো মিলে ওই যুবককে খুন করেছেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, নিহতের স্ত্রী ও ভাইপো বেশ কয়েক দিন ধরে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। গত বছরের নভেম্বরে যুবতীর স্বামী তা জেনে ফেলেন। এর পরেই বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়ে তাঁকে খুন করে দেহটি বাড়ির উঠোনে একটি গর্ত খুঁড়ে পুঁতে দেন দু’জনে। তার পর স্বামীর নিখোঁজ হওয়ার খবর রটিয়ে দেন।
চলতি বছরের অগস্ট মাসে যুবকের পরিবার তাঁর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করে। তদন্তে নামে পুলিশ। যুবকের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখনই খুনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, গত বছরের ২ নভেম্বর যুবককে খুন করেছেন তাঁরই স্ত্রী ও ভাইপো।
আরও পড়ুন:
স্থানীয় সূত্রে খবর, নিহত যুবক গুজরাতে কাজ করতেন। ছ’-সাত মাস অন্তর বাড়ি ফিরতেন। সেই সুযোগে তাঁর স্ত্রী ও ভাইপোর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২৪-এর মাঝামাঝি বিষয়টি জানতে পারেন ওই যুবক। এ নিয়ে দম্পতির মধ্যে তুমুল বচসাও হয়। তখনই তাঁকে খুনের ছক কষেন স্ত্রী।
পশ্চিম কানপুরের ডিসিপি দীনেশ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘ওই যুবক তাঁর স্ত্রীকে মারধর করতেন বলে অভিযোগ। সে সময় যুবকের ভাইপোর সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই নিয়েও দম্পতির মধ্যে ঝগড়া, হাতাহাতি হয়। তার পর ২ নভেম্বর রাতে তাঁকে খুন করে দেহটি বাড়ির পিছনে এক গর্তে পুঁতে দেন দু’জনে।’’ পুলিশের দাবি, জেরার মুখে অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও ভাগ্নে। জেরায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মাটি খুঁড়ে যুবকের দেহাবশেষও মিলেছে। সেগুলি ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।