Advertisement
E-Paper

নেপালে অশান্তির আবহে সীমান্তে কড়া সতর্কতা জারি করল ভারত! পানিট্যাঙ্কিতেও বাড়ল নিরাপত্তা

নেপালের সঙ্গে ভারতের প্রায় ১,৭৫১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ভারতের উত্তরাখণ্ড, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, সিকিম এবং পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্য নেপালের সীমান্তবর্তী। নেপালের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে পাঁচ রাজ্যেই সীমান্তে তৎপরতা বেড়েছে। নজরদারি বেড়েছে শিলিগুড়ির পানিট্যাঙ্কি সীমান্তেও।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩:১৭
বন্ধ করে দেওয়া হল ভারত-নেপাল সীমান্ত।

বন্ধ করে দেওয়া হল ভারত-নেপাল সীমান্ত। — ফাইল চিত্র।

বিক্ষুব্ধ ছাত্র-যুবর আন্দোলনে উত্তাল নেপাল। সেই আবহে পড়শি দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ল ভারতেও। কড়া সতর্কতা জারি হল ভারত-নেপাল সীমান্তে। মোতায়েন হল কড়া প্রহরা।

নেপালের সঙ্গে ভারতের প্রায় ১,৭৫১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ভারতের উত্তরাখণ্ড, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, সিকিম এবং পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্য নেপালের সীমান্তবর্তী। নেপালের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে পাঁচ রাজ্যেই সীমান্তে তৎপরতা বেড়েছে। বিহারের নেপাল সীমান্তবর্তী সাতটি জেলায় নজরদারি বাড়িয়েছে সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি) এবং বিহার পুলিশ। পশ্চিম চম্পারণ, সীতামঢ়ী, মধুবনী, আরারিয়া, সুপৌল, পূর্ব চম্পারণ এবং কিষাণগঞ্জে টহলদারি বেড়েছে। পাশাপাশি, আশপাশের এলাকায় সন্দেহজনক কাউকে দেখলেই পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তল্লাশি করা হচ্ছে। কোনও ভাবেই যাতে নেপালের আন্দোলনের আঁচ এ দেশে না পড়ে, সে জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যের তরফে একাধিক ব্যবস্থাপনা নেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জারি হয়েছে ‘হাই অ্যালার্ট’। ভারতের তরফে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বেশির ভাগ সীমান্তে বড় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়ির পানিট্যাঙ্কিতেও থমথমে পরিবেশ। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সেখানে নাকাতল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। প্রতিটি গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। নামানো হয়েছে ডগ স্কোয়াড। নেপালে আটকে থাকা ভারতীয়দের জন্য ২৪ ঘণ্টা সচল কন্ট্রোল রুমও চালু করেছে দার্জিলিং জেলা পুলিশ।

মঙ্গলবার সকালে পানিট্যাঙ্কি সীমান্তের পরিস্থিতি যাচাই করেন দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ। তিনি বলেন, ‘‘আমরা সীমান্তে নাকাতল্লাশি শুরু করেছি। এখনও পর্যন্ত এ পারে কোনও অশান্তি নেই। তবে আমরা সতর্ক রয়েছি৷ নেপাল পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।’’ এসএসবি-র মুখপাত্র ডিসি অমিত কুশওয়াহা বলেন, ‘‘আপাতত সীমান্তবর্তী এলাকায় উদ্বেগের কিছু নেই। এসএসবি সর্বক্ষণ সজাগ রয়েছে এবং নেপালের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। আমরা আশা করি, শীঘ্রই সেখানে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে।’’

প্রবল বিক্ষোভের মুখে সোমবার রাতেই সমাজমাধ্যমের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে নেপাল সরকার। তবে তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। বরং মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের দাবিতে নতুন করে পথে নেমেছেন ছাত্র-যুবকেরা। সে দেশের অন্য দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সোমবারের বিক্ষোভে এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এত জন তরুণের মৃত্যুর জন্য নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির দিকেই আঙুল তুলছে বিক্ষুব্ধ জনতা এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। সমালোচনা শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। মঙ্গলবার সকালে সে দেশের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌডেলের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল ‘প্রচণ্ড’-র বাসভবনেও। স্থানীয় সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকেই কার্ফু চলছে কাঠমান্ডুতে। তবে কার্ফু উপেক্ষা করেই পথে নেমেছে তরুণ প্রজন্ম।

Nepal Nepal Unrest Nepal Border India Border
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy