—প্রতীকী চিত্র।
কন্যা এবং তাঁর প্রেমিককে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। খুনের পর তিনি নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন। অবলীলায় পুলিশকে জানিয়েছেন যে, তিনি নিজের হাতে তাঁর কন্যাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছেন। কন্যার বন্ধুকেও মেরেছেন তিনিই। খুনের অস্ত্রটিও থানায় জমা দিয়েছেন ওই ব্যক্তি।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের বুদায়ুঁ জেলার। সেখানকার এসএসপি ওপি সিংহ জানিয়েছেন, ১৯ বছরের এক তরুণীকে তাঁর বাবা খুন করেছেন। ওই তরুণীর প্রেমিক ২০ বছরের যুবককেও খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় তরুণীর পরিবারের লোকজন জড়িত।
তরুণীর বাবার নাম মহেশ। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর কন্যা প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে সন্দেহ হয়েছিল তাঁর। তার পর থেকেই কন্যার উপর নজর রাখছিলেন তিনি। এক দিন তরুণী ভোর ৪টে নাগাদ লুকিয়ে বাড়ি থেকে বেরোন এবং প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করেন। তা দেখেই রেগে যান বাবা। তিনি যুগলের পিছু নেন এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে দু’জনকেই কোপান। তরুণীর দেহ কুপিয়ে ফালাফালা করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।
রক্তমাখা অস্ত্র নিয়ে থানায় গিয়ে নিজের কীর্তির কথা স্বীকার করেন অভিযুক্ত। যুবকের পরিবারের তরফে তাঁর এবং তরুণীর পরিবারের বাকি সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তরুণীর বাবা এবং মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুগল একই সম্প্রদায়ভুক্ত ছিলেন। ফলে তাঁদের সম্পর্কে জাতপাতগত কোনও কারণে পরিবারের আপত্তি ছিল না। লুকিয়ে দেখা করতে দেখেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তরুণীর বাবা। যুবক কর্মসূত্রে হিমাচল প্রদেশে থাকতেন। গত ৩১ ডিসেম্বর ছুটিতে বাড়ি ফিরেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy