—প্রতীকী ছবি
রিল লাইফে ঠিক এমনটাই হতে দেখা গিয়েছিল আলি আব্বাস জাফরের ‘মেরে ব্রাদার কি দুলহন’ ছবিতে। আলি জাফর, ইমরান খান ও ক্যাটরিনা কইফ অভিনীত সেই ছবিতে দাদার জন্য বউ খুঁজতে গিয়ে হবু বৌদিকেই বিয়ে করে নিয়েছিল দেওর। এ ক্ষেত্রেও ঘটনা প্রায় একই। তফাৎ শুধু একটাই। এটা ৭৫ মিমি-র স্ক্রিন নয়, রিয়েল লাইফ। ঘটনাস্থল ভেলোরের কাছের তিরুপত্তর এলাকা।
ইলায়াম পাট্টির বালা মুরুগান মন্দিরে গত ১ জুন বিয়ের আসর বসেছিল। ২০ বছরের রাজাপালায়ামের সঙ্গে সম্বন্ধ করে বিয়ে হচ্ছিল স্থানীয় যুবক কুমারের। প্রথা মেনে মন্দিরের পুরোহিত যখন ওই যুবককে রাজাপালায়ামের গলায় ‘থালি’(পবিত্র সুতো) বাঁধতে বলেন, তখনই ঘটে অঘটন। সেই সময় বরের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন কুমারের ছোট ভাই ভেলু। হঠাৎই দাদাকে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে পকেট থেকে একটি ‘থালি’ বের করে রাজাপালায়ামের গলায় তা বেঁধে দেন তিনি। মনে করা হয়, ওই পবিত্র সুতো কনের গলায় যিনি বাঁধবেন তিনিই তাঁর স্বামী হিসাবে গণ্য হবেন।
আরও পড়ুন: কুড়ি দিনের দাম্পত্য, বিবাহ বিচ্ছেদ পেতে লাগল ২০ বছর!
ছোট ভাই হঠাৎই কনের গলায় ওই ‘থালি’ পরিয়ে দেওয়ায় অবাক হয়ে যান সকলেই। কিন্তু অবিচল থাকেন রাজাপালায়াম। পরিবারের সকলে চাইলেও ‘থালি’ খুলতে অস্বীকার করেন কনে। একটু পরেই বেরিয়ে পড়ে সত্যিটা। ভেলু স্বীকার করে নেন কয়েক মাস আগে রাজাপালায়ামের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাঁর। তখনই ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। একে অপরকে ভালবেসে ফেলেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সে কথা খোলসা করে বলতে পারেননি বাড়িতে। তাই বড় ভাইয়ের সঙ্গে প্রেমিকার বিয়ের সম্বন্ধ হচ্ছে দেখেও কিছু বলতে পারেননি তিনি। অবশেষে একটি ফন্দি আঁটেন দু’জন। বিয়ের আসরে একেবারে সঠিক সময়ে রাজাপালায়ামকে ‘থালি’ পরিয়ে দেন ভেলু।
গোলমাল বাধে এরপরেই। কনের বাড়ি থেকে এই বিয়ে মেনে নিতে অস্বীকার করা হয়। এমনকী জোর করে খুলেও দেওয়া হয় তাঁর ‘থালি’। কিন্তু অন্য কাউকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন রাজাপালায়াম। কনের বাড়ির আত্মীয়দের হাতে মার খেতে হয় ভেলুকে। এরপরই আহত ভেলু বিয়ের আসর ছেড়ে পালিয়ে যান।
তিরুপাত্তুর তালুক থানার পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর ওই যুবকের পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হলেও এক ঘণ্টার মধ্যে তা তুলেও নেওয়া হয়। কনের বাড়ি থেকেও লিখিত অভিযোগ জানানো হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy