—প্রতীকী চিত্র।
ভরদুপুরে রক্তারক্তি কাণ্ড হাই কোর্ট চত্বরে। ভরা আদালতে প্রেমিককে ভাই বলে ডেকেছিলেন প্রেমিকা। সে কথা মেনে নিতে না পেরেই বিচারপতির সামনে চরমতম পদক্ষেপ করলেন প্রেমিক।
সোমবার দেশের দক্ষিণের রাজ্য কেরলের হাই কোর্টে ঘটেছে এই ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই প্রেমিকের নাম বিষ্ণু। বয়স ৩১। তাঁর প্রেমিকার বয়স ২৩। গত এক মাস ধরে একত্রবাস করছিলেন তাঁরা। সম্প্রতি তরুণীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনায় মামলা হয়। সোমবার সেই মামলার শুনানিতে হঠাৎই তরুণী জানান, বিষ্ণু নামের ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক নেই। তিনি ওই যুবককে ভাইয়ের মতোই ভালবাসেন। ভরা আদালতে এ কথা শোনার পরই মেজাজ হারান ওই যুবক।
কেরলের হাই কোর্টের বিচারপতি অনু শিবরামন এবং বিচারপতি সি জয়চন্দ্রনের এজলাসে চলছিল মামলার শুনানি। সেখানেই তরুণী বিচারপতিদের জানান, তিনি ওই যুবকের সঙ্গে এক মাস থাকলেও এখন বাবা-মায়ের কাছে ফিরতে চান। কারণ হিসাবে তিনি আদালতে জানান, তিনি বিষ্ণু নামের ওই যুবকের সঙ্গে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন কারণ ওই যুবক তাঁকে বলেছিলেন, রাজি না হলে আত্মঘাতী হবেন। সহানুভূতিবশতই তাঁর সঙ্গে গত এক মাস ছিলেন তিনি। কিন্তু আর তিনি থাকতে রাজি নন।
আদালতে প্রেমিকার এই বক্তব্য শোনার পরই তীব্র প্রতিবাদ জানান ওই যুবক। একটি ছুরি দিয়ে নিজের হাতের কব্জি কেটে ফেলেন তিনি। রক্তারক্তি কাণ্ড হয় আদালত চত্বরে। গুরুতর জখম বিষ্ণুকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। স্থগিত হয়ে যায় মামলার শুনানি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুধু প্রেমিকার প্রত্যাখ্যানের জন্যই ওই কাণ্ড ঘটাননি বিষ্ণু। আদালতে ওই তরুণী ওই যুবকের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগও আনেন। তিনি বিচারপতিদের জানিয়েছিলেন, ওই যুবকের ইতিমধ্যেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। নতুন সম্পর্কে জড়ানোর সময় ওই যুবক বলেছিলেন, স্ত্রী-র সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাল নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy