পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে তাঁকে আগেই গ্রেফতার করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস)। সূত্রের খবর, সেই তুফাইলকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে এটিএস। ‘উম্মিদ-এ-শহর’ নামে একটি হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপ খুলে বারাণসী, আজ়মগড়, কানপুর, কনৌজ, রামপুর, মোরাদাবাদ এবং বরেলী-সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি শহরে জাল বিস্তার করেছিলেন তুফাইল। শুধু তা-ই নয়, ওই হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে এই শহরগুলি থেকে অল্পবয়সিদের বেছে চরবৃত্তির কাজে নিয়োগ করতেন।
এটিএস সূত্রে খবর, তুফাইলের তৈরি ওই হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপে এক পাক ‘হ্যান্ডলার’-এরও নাম পাওয়া গিয়েছে। জেরায় তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ওই গ্রুপে আইএসআই-এর এক জন ‘হ্যান্ডলার’ও ছিলেন। আর সেই ‘হ্যান্ডলার’-এর নির্দেশেই হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপ চলত বলেই দাবি করেছেন তুফাইল। তাঁকে জেরা করে তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছেন যে, পাকিস্তানে নাফিসা নামে এক মহিলার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন তুফাইল। ঘটনাচক্রে, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, নাফিসা নামে ওই মহিলা আইএসআই-এর হয়ে কাজ করেন।
সূত্রের খবর, নাফিসার মাধ্যমেই সিমকার্ড পেয়েছিলেন তুফাইল। সেই সিম ভুয়ো নাম ব্যবহার করে নেওয়া হয়েছিল। নাফিসার মোবাইলে ব্যবহার করা হচ্ছিল সেই সিমকার্ড। এটিএস সূত্রের খবর, ২০২২ সালে পাকিস্তানে আইএসআই এজেন্ট নওশাদ মেমনের সঙ্গে পরিচয় হয় তুফাইলের। ঘটনাচক্রে, সেই নওশাদকে পঞ্জাব থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, দিল্লিতে পাক হাইকমিশনের এক আধিকারিককে ভারতের বেশ কয়েকটি সিমকার্ড দিয়েছিলেন। নওশাদ আর তুফাইলের মধ্যে কী সম্পর্ক ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, এই দু’জন মিলেই ভারতে আইএসআই এজেন্টদের নেটওয়ার্ক বিস্তার করছিলেন।
তুফাইলের প্রতিবেশীদের দাবি, সব সময় মোবাইলেই ব্যস্ত থাকতেন তিনি। এলাকাবাসীদের সঙ্গে খুব একটা কথা বলতেন না। তুফাইলের বাড়ির সামনের আরও এক প্রতিবেশীর দাবি, নিত্যদিন বহিরাগতদের আনাগোনা লেগে থাকত তুফাইলের বাড়িতে। সন্ধ্যা এবং রাতের দিকেই আসতেন তাঁরা। কারা তুফাইলের সঙ্গে দেখা করতে আসতেন, সেই দিকটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।