Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

ফের প্রশাসনে দেখতে চেয়ে জয়াকে চিঠি মেনকার

সুপারস্টার রজনীকান্তের শুভেচ্ছাবার্তা পেয়েছেন আগেই। এ বার আম্মাকে তাঁর কঠিন সময়ে পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী মেনকা গাঁধীও। আরোগ্য কামনার পাশাপাশি, তাঁকে দেখতে চাইলেন প্রশাসকের পুরনো ভূমিকাতেও। চিঠিতে পাল্টা সৌজন্য প্রকাশ করেছেন এডিএমকে নেত্রী জয়ললিতাও। তবু সম্ভবত রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণেই দেশের এই দুই প্রথম সারির মহিলা রাজনীতিকের পারস্পরিক চিঠি বিনিময়কে ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা।

সংবাদ সংস্থা
চেন্নাই শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৪ ০২:৫৭
Share: Save:

সুপারস্টার রজনীকান্তের শুভেচ্ছাবার্তা পেয়েছেন আগেই। এ বার আম্মাকে তাঁর কঠিন সময়ে পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী মেনকা গাঁধীও। আরোগ্য কামনার পাশাপাশি, তাঁকে দেখতে চাইলেন প্রশাসকের পুরনো ভূমিকাতেও। চিঠিতে পাল্টা সৌজন্য প্রকাশ করেছেন এডিএমকে নেত্রী জয়ললিতাও। তবু সম্ভবত রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণেই দেশের এই দুই প্রথম সারির মহিলা রাজনীতিকের পারস্পরিক চিঠি বিনিময়কে ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। বিজেপি অবশ্য দল হিসেবে এই অধ্যায় থেকে দূরেই থাকতে চাইছে।

জামিনে মুক্তি পেয়ে চেন্নাই ফিরেছেন দু’দিন আগে। আর ঠিক তার পর থেকেই যেন বদলে গিয়েছে তামিলনাড়ুর চেহারা। জয়া নিজে সমর্থকদের ঘুরে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এডিএমকে সূত্রে দাবি, আম্মা একই রকম আপ্লুত রজনীকান্ত ও মেনকা গাঁধীর তরফে শুভেচ্ছাবার্তা পেয়েও।

কঠিন সময়ে আম্মার জন্য কিছু করতে পারলে খুশিই হবেন বলে জানিয়েছেন বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেত্রী মেনকা। এডিএমকে-র কাছে গত কালই রজনী ও মেনকার শুভেচ্ছাবার্তা দু’টি এসে পৌঁছয়। দলের তরফেই তা তুলে দেওয়া হয় নেত্রীর হাতে। দলীয় সূত্রে দাবি, জয়ায় আরোগ্য কামনার পাশাপাশি মেনকা চিঠিতে লিখেছেন, “আশা রাখছি খারাপ সময় দ্রুত কাটবে। এবং আমরা আবার আপনাকে স্বাভাবিক প্রশাসনিক দায়িত্বে দেখতে পাব।”

দু’জনকেই পাল্টা চিঠি লেখেন জয়া। এডিএমকে সূত্রে আজই তা প্রকাশ করা হয়েছে। মেনকার উদ্দেশে আম্মা লেখেন, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আপনি। তবু চূড়ান্ত ব্যস্ততার মধ্যেও এই যে আমার কথা ভেবেছেন, আমাকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন আমি আপ্লুত।” পরিবারের সবার শুভ কামনা জানিয়ে তিনি উত্তর দিয়েছেন রজনীকান্তকেও।

মেনকার চিঠি ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক অবশ্য পিছু ছাড়ছে না। বিজেপি যথারীতি নিজেদের দূরে রাখছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের একটা বড় অংশের দাবি, গাঁধীর এই চিঠি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মূরলীধর রাও আজ এই চিঠি প্রসঙ্গে বলেন, “এটা একান্তই ওঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে উনি কাউকে কিছু লিখতেই পারেন। হতেই পারে, উনি ব্যক্তিগত ভাবে জয়ললিতাকে নির্দোষ বলে মনে করেন। দল হিসেবে বিজেপি বিচারব্যবস্থার উপরই ভরসা রাখছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE