তদন্তের গোড়াতেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়ল এনআইএ। মণিপুর হামলার তদন্ত শুরু করার পরে আজ তারা যে বিবৃতি প্রকাশ করেছে, সেখানে হামলার প্রধান ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে তিন জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জন বহু দিন আগেই খাপলাং গোষ্ঠী ছেড়ে শান্তি আলোচনার পথে পা বাড়িয়েছেন। সংঘর্ষবিরতিতে থাকা নাগাল্যান্ডের সব জঙ্গি সংগঠনগুলিই উধোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর ঘটনায় এনআইএ-র উপর ক্ষুব্ধ। তাদের অভিযোগ, নাগাল্যান্ডে জঙ্গি সংগঠনগুলির বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা একেবারেই অজ্ঞ। এই পরিস্থিতিতে এনআইএ তদন্তে বিশ্বাস রাখাই তো কঠিন।
এনআইএর তদন্তকারীরা কালই ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় তেংনাউপাল থানা থেকে সরকারি ভাবে তদন্ত ভার বুঝে নেন। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ৩০২, ৩০৭, ১২০বি, ১২১, ১২১এ এবং অস্ত্র আইন ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেছে এনআইএ। তাদের বিবৃতির এক নম্বরে রয়েছে এনএসসিএন-খাপলাং গোষ্ঠীর প্রধান, খাপলাং পাংগমির নাম। খাপলাং নিজে হামলার দায় স্বীকারও করেছেন। এনআইএ-র বিবৃতি অনুযায়ী, বাকি দুই ষড়যন্ত্রকারী হলেন কুঘালু মুলাতনু ও অ্যালোজো চাকেসাং। বাস্তবে এই দুই জঙ্গি নেতাই এখন ‘প্রাক্তন খাপলাং’। গত বছরই মুলাতনু ও চাকেসাং মায়ানমার থেকে ডিমাপুরে ফিরে এসেছেন। আপাতত তাঁরা সংঘর্ষবিরতিতে থাকা খুলে-কিতোভি শাখার সদস্য ও শান্তি প্রক্রিয়ার অন্যতম অংশীদার। দুই জঙ্গি নেতাই ডিমাপুরে বসে রয়েছেন।
এনআইএ তাঁদের দায়ী করে তদন্ত শুরু করেছে জেনে দু’জনই বিস্মিত। বিশেষ করে এক সময় খাপলাং-এর ‘ডান হাত’, মুলাতনু ২০০৯ থেকেই শান্তি আলোচনার পক্ষে সওয়াল করছিলেন। খুলে-কিতোভি শাখার অভিযোগ, কোন জঙ্গি নেতা কোন দলে, কোথায় রয়েছেন, কী করছেন, এনআইএর ধারণাটুকুও নেই। কোন ভরসায় তাদের হাতে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy