— প্রতীকী ছবি।
জাতিগত হিংসায় জ্বলছে উত্তর-পূর্বের রাজ্য মণিপুর। দীর্ঘ হিংসার প্রভাব পড়েছে রাজ্যের সমস্ত প্রশাসনিক কার্যকলাপে। তবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন। হিংসা শুরু হওয়ার পর থেকেই সহস্রাধিক পুলিশকর্মী কাজে আসেননি। এ বার তাঁদের কাজে ফেরাতে স্থানীয় স্তরে আবেদন জানাতে শুরু করল সরকার। সরকারের বক্তব্য, ‘যেখানে নিরাপদ মনে করেন, সেখানেই কাজে যোগ দিন!’
পুলিশের শীর্ষকর্তারা জানাচ্ছেন, হিংসাত্মক ঘটনা শুরু হতেই পুলিশকর্মীরা দলে দলে যে যাঁর নিজের এলাকায় ফিরতে শুরু করেন। তাঁদের মধ্যেই বহু কর্মী আর কাজে যোগ দেননি। এমনকি সরকারের তরফ থেকে তাঁদের আশ্বস্ত করার প্রথম প্রয়াসও কার্যত ব্যর্থ হয়। তার পরেই কাজে যোগ দেওয়ার শর্ত শিথিল করার সিদ্ধান্ত। স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে এখনও কাজে যোগ না দেওয়া পুলিশকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও অনেকের সঙ্গেই এখনও পর্যন্ত যোগাযোগ করে ওঠা যায়নি।
মণিপুরে কুকি এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। সেনা নামিয়েও বাগে আনা যাচ্ছে না পরিস্থিতি। অনির্দিষ্টকালীন কার্ফু চলছে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায়। সংঘর্ষের সরাসরি প্রভাব এসে পড়েছে পুলিশবাহিনীর মধ্যেও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, পুলিশকর্মীরা কেউ কুকি, আবার কেউ মেইতেই সম্প্রদায়ভুক্ত। কিন্তু বাহিনীতে তাদের এই পরিচয় গণ্য হয় না। সংঘর্ষের সময় সম্প্রদায় নির্বিশেষে প্রয়োজনীয় এলাকায় মোতায়েন করা হয় পুলিশ। তাতে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন মণিপুরের পুলিশকর্মীদের একটি অংশ। তাই নিজেদের এলাকায় ফিরে নিরাপদ থাকতে চাইছেন তাঁরা। কিন্তু এ ভাবে বাহিনী চালানো সম্ভব নয় বলে মনে করেন ওই পুলিশকর্তা। তাই স্থানীয় প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়া পুলিশকর্মীদের কাজে ফেরানোর চেষ্টা হচ্ছে। বলা হয়েছে, যে যেখানে নিরাপদ বোধ করবেন, সেখানেই তাঁরা কাজে যোগ দিতে পারবেন। এ জন্য আলাদা করে কোনও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy