মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে পুলিশি টহলদারি। ছবি: পিটিআই।
গোষ্ঠীহিংসার ঘটনায় ধৃত পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ‘বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন’ (‘আনলফুল অ্যাক্টিভিটিজ প্রিভেনশন অ্যাক্ট’ বা ইউএপিএ)-এ মামলা করেছিল মণিপুর পুলিশ। আর সেই ঘটনার জেরে বুধবার ফের অশান্তি ছড়াল সে রাজ্যে। ধৃতদের মুক্তি এবং ইউএপিএ প্রত্যাহারের দাবিতে বন্ধের জেরে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গেল মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল এবং লাগোয়া বিভিন্ন এলাকা। দিনভর দফায় দফায় সংঘর্ষ হল বন্ধ সমর্থক এবং পুলিশের।
পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত পাঁচ জনের বিরুদ্ধে সেনার পোশাক পরে হামলা চালানো, পুলিশের স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র লুট, অগ্নিসংযোগ-সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক জন নিষিদ্ধ বিদ্রোহী সংগঠন পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র সদস্য। মৈরামথেং আনন্দ সিংহ নামে আর এক ধৃতের বিরুদ্ধে কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টি নামে নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর যোগাযোগের অভিযোগ রয়েছে। মৈরামথেংকে আগেও জাতীয় নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। গোষ্ঠীহিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার ওই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
মণিপুর পুলিশের এক আধিকারিক বুধবার বলেন, ‘‘সেনার উর্দি পরে হিংসায় অংশ নেওয়া এবং ইনসাস রাইফেল ও কার্তুজ লুটের প্রমাণ মিলেছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। লুট হওয়া অস্ত্র এবং কার্তুজ উদ্ধারও হয়েছে।’’ যদিও মেইতেইদের কয়েকটি সংগঠনের অভিযোগ, ধৃত পাঁচ জন নির্দোষ। তাঁদের মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেইতেইদের মহিলা গোষ্ঠী মেইরা পেইবি এবং পাঁচটি স্থানীয় সংগঠন মঙ্গলবার থেকেরাজ্য জুড়ে ৪৮ ঘণ্টার বন্ধের ডাক দিয়েছিল। অল লাংথাবল কেন্দ্র ইউনাইটেড ক্লাব কো-অর্ডিনেটিং কমিটির সভাপতি ইয়ুমনাম হিটলার বলেন, “যে পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা গ্রামের স্বেচ্ছাসেবী। কুকি-জোদের হামলার হাত থেকে গ্রামবাসীদের বাঁচাতে তাঁরা রক্ষকের কাজ করেন। আমরা ওঁদের মুক্তি চাইছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy