Advertisement
E-Paper

ফুঁসে ওঠা বিপাশায় ভেসে গেল চণ্ডীগড়-মানালি হাইওয়ের বিস্তীর্ণ অংশ! হিমাচলে তিন দিন ধরে আটকে কয়েকশো গাড়ি, যাত্রী

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জাতীয় সড়কের বেশ কিছু এশং ক্ষতিগ্রস্ত। ফলে যান চলাচল পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। দ্রুত সেই রাস্তার মেরামত করে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২৫ ১৫:৫৩
মানালির কাছে একটি টোলপ্লাজ়ার দৃশ্য। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

মানালির কাছে একটি টোলপ্লাজ়ার দৃশ্য। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

হিমাচল প্রদেশে দুর্যোগ থামার কোনও লক্ষণই নেই। ভারী বৃষ্টি আর হড়পা বানের জেরে জায়গায় জায়গায় ধস নামছে। ভেসে যাচ্ছে বসতির পর বসতি। মৃত্যুও হচ্ছে। কয়েক দিন ধরে হিমাচলের উঁচু এলাকায় টানা বৃষ্টি হওয়ায় বিপাশার জলস্তর কোথাও কোথাও বিপদসীমা ছাপিয়ে গিয়েছে। ফুঁসে ওঠা বিপাশার গ্রাস থেকে রক্ষা পায়নি হিমাচলের ‘লাইফলাইন’ চণ্ডীগড়-মানালি জাতীয় সড়কও।

পাড় ছাপিয়ে নদীর জল জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে। তার জেরে জাতীয় সড়কের বিস্তীর্ণ অংশ নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। বিশেষ করে কুলু এবং মানালির মাঝে বেশ কয়েকটি জায়গায় জলস্রোতে নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে জাতীয় সড়ক। ফলে জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়ছে শয়ে শয়ে গাড়ি। আটকে রয়েছেন যাত্রীরাও। টানা দিন তিন ধরে রাস্তায় আটকে রয়েছে গাড়িগুলি।

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জাতীয় সড়কের বেশ কিছু এশং ক্ষতিগ্রস্ত। ফলে যান চলাচল পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। দ্রুত সেই রাস্তার মেরামত করে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং টানা বর্ষণে পরিস্থিতি কখন স্বাভাবিক হবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন গাড়িতে আটকে থাকা যাত্রীরা। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কোনও কোনও জায়গায় জাতীয় সড়কের ২০০ মিটারের বেশি অংশ নদীস্রোতে ভেসে গিয়েছে। তার মধ্যে আবার ধস নামায় পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়েছে। বানালায় ধস নামায় যান চলাচল বন্ধ করতে হয়েছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে।

ইন্ডিয়া টিভি টুডে-কে মানালির বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি জায়গায় মেঘভাঙা বৃষ্টি হওয়ায় হঠাৎ করে বিপাশার জলস্তর বেড়ে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। অনেক পরিবার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক বাড়ি। ফলে ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হচ্ছে। তাঁদের কথায়, ‘‘ঠিক মতো খাবার জল পাওয়া যাচ্ছে না। দোকানপাট ভেসে যাওয়ায় রোজগার প্রায় বন্ধ। এখন আপেলের মরসুম। কিন্তু এই দুর্যোগে সেই ফসলও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যদি এমন পরিস্থিতি চলতে থাকে, তা হলে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ব।’’ শুধু বসতি এলাকাই নয়, নদীর ধারে গড়ে ওঠা হোটেল, রিসর্ট ভেসে গিয়েছে। এমনকি অনেক সেতুও জলের তোড়ে ভেঙে পড়েছে। ফলে অনেক এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।

Manali
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy