খোঁজ মিলল কুন্দন পাহানের! ফেসবুকে! ঝাড়খণ্ড পুলিশ কট্টর মাওবাদী নেতা কুন্দনের মাথার দাম ঘোষণা করেছে পাঁচ লক্ষ টাকা। বহু বার অভিযান চালিয়েও কুন্দনের টিকি ছুঁতে পারেনি পুলিশ। এ হেন কুন্দন পাহান হঠাৎ হাজির ফেসবুকে। “নো সরি, নো রিপোর্ট, ফয়সলা অন দ্য স্পট”--ফেসবুকে এটাই তাঁর ঘোষণা। জলপাই পোশাকে তাঁর একটি ছবিও লাগানো রয়েছে অ্যাকাউন্টটিতে। দেওয়াল জুড়ে শুধু সন্ত্রাসের ছবি। কর্মস্থলের জায়গায় লেখা ‘ক্রিমিনাল’। স্কুলের নাম, আরডিএক্স স্কুল। বসবাসের জায়গা রাঁচি।
দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের নাগালের বাইরে থাকা এ রাজ্যের প্রথম সারির এই মাওবাদী নেতার নামে রাঁচি আর খুঁটিতে কমবেশি একশোরও বেশি মামলা রয়েছে। খুন, মারপিট, লুঠপাট, ডাকাতি-সহ একাধিক ঘটনা। এমন এক জঙ্গি যাকে পুলিশ ধরতে পারেনি, সে ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্ট খুলেছে দেখে ধন্দে পড়েছেন এ রাজ্যের পুলিশ কর্তারা। অ্যাকাউন্টটি সত্যিই কুন্দনের, নাকি অন্য কেউ কুন্দনের নামে অ্যাকাউন্টটি খুলেছে, তা খতিয়ে দেখছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। কুন্দন পাহান লিখে খোঁজ করলে দেখা যাচ্ছে কুন্দন পাহান নামে আরও কয়েকটি অ্যাকাউন্ট আছে ফেসবুকে। তবে এটিতে কুন্দনের ছবিই ব্যবহার করা হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গিদের মধ্যে অন্যতম কুন্দন। তাঁর মাথার উপরে পাঁচ লক্ষ টাকা পুরস্কার অনেক দিন আগেই ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। নৃশংসভাবে এক আদিবাসী পুলিশ অফিসারের মাথা কেটে খুন করে প্রথম খবরে আসে কুন্দন ও তার দলবল। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সাংসদ সুনীল মাহাতোর খুনেও কুন্দন সরাসরি যুক্ত বলে অভিযোগ।
কুন্দনের অ্যাকাউন্টটিতে রয়েছে মাওবাদী নেতা কিষেণজির ছবি, লেখা--গুরুজি। মাওবাদীদের প্রশিক্ষণের ছবিও রয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টটিতে কয়েক জন বন্ধুও রয়েছে। তাঁরা কারা, সে সম্পর্কেও খোঁজ খবর নিচ্ছে পুলিশ। ওয়ালে থাকা ছবিগুলি দু’ বছর আগে পোস্ট করা। এতদিন কেন পুলিশ তা নজর করেনি, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy