মাওবাদী কার্যকলাপ রুখতে সক্রিয়তা। —ফাইল চিত্র।
পুলিশের খোচড় সন্দেহে দুই গ্রামবাসীকে ফাঁসিতে ঝোলাল মাওবাদীরা। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তীসগঢ়ে বিজাপুর জেলার মীরতুর থানার অন্তর্গত জাপ্পেমার্কা গ্রামে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে উল্লেখ, ওই প্রত্যন্ত গ্রামের ঘটনার কথা বৃহস্পতিবার জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের এক সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনাটির কথা স্থানীয় থানায় পৌঁছেছে এবং পুলিশ এ বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করছে। তিনি বলেন, “প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, তিন জন গ্রামবাসীকে অপহরণ করেছিলেন নকশালেরা। সেই তালিকায় এক স্কুল পড়ুয়াও রয়েছে।”
মাওবাদীদের সন্দেহ ছিল গ্রামের ওই পরিবারটির সঙ্গে গোপনে পুলিশের যোগাযোগ রয়েছে। মাওবাদীদের গতিবিধি প্রসঙ্গে তাঁরা পুলিশকে খবর দিতেন বলে সন্দেহ করছিলেন মাওবাদীরা। পুলিশের ওই সিনিয়র আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, ওই তিন জনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার পর সালিশি সভা ডেকেছিলেন। সেখানেই দু’জনকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। অপহৃত দু’জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেন মাওবাদীরা এবং স্কুল পড়ুয়াকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মৃতদের দু’জনের নাম মাদভী সুজা ও পদিয়াম কোসা। পুলিশ জানিয়েছে এই হত্যার দায় স্বীকার করেছে মাওবাদীদের ভৈরমগড় এরিয়া কমিটি। তাদের দাবি, ওই দু’জন পুলিশের খোচড় হিসাবে কাজ করছিলেন।
বৃহস্পতিবার এই খবর পাওয়ার পর, সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একটি দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। দেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছে এবং এই ঘটনার বিষয়ে আরও বিশদে তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই দন্তেওয়াড়া-বিজাপুর সীমানার জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন ন’জন মাওবাদী। তারও আগের সপ্তাহে ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুর জেলায় মাওবাদীদের হানায় প্রাণ হারান তিন জন গ্রামবাসী। পুলিশের গুপ্তচর সন্দেহে হত্যা করা হয় তাঁদের। পরিসংখ্যান বলছে, গত ১০ বছরে মাওবাদীদের হাতে নিহত হয়েছিলেন ছ’হাজার ৬১৭ জন নিরাপত্তা কর্মী এবং সাধারণ নাগরিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy