সাদা চাদরে ঢাকা নিথর দেহটার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়েছিলেন বছর পঁয়ত্রিশের মরিয়ম খাতুন। মাঝেমধ্যেই ডুকরে উঠছেন। মরিয়মদের বাড়ির সামনে মোতায়েন হয়েছে পুলিশ। গোটা গ্রামই কার্যত ছয়লাপ পুলিশে। কান্না জড়ানো গলায় মরিয়মের আক্ষেপ, ‘‘এখন পুলিশ এসে কী লাভ? আমার স্বামীকে যখন ওরা মারছিল, তখন কোথায় ছিল পুলিশ?’’
এই প্রশ্নটা শুধু রামগড়ের আলিমুদ্দিনের স্ত্রী মরিয়মের একার নয়, এই প্রশ্নটাই ঘুরছে মনুয়া গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যেও। গ্রামের চারদিকে পুলিশি মোতায়েন দেখে মনে হয় গ্রামে কোনও ভিআইপি আসছেন। গ্রামেরই এক বাসিন্দা বাবলু হোসেন প্রশ্ন তোলেন, ‘‘আলিমকে তো কোনও নির্জন জায়গায় মারা হয়নি। ভরদুপুরে রাস্তার উপরে মারা হয়েছে। কয়েক পা এগোলেই বাজারটাঁড় মোড়। সেখান থেকে পুলিশ আসতে এত সময় লাগল?’’
খাপরার চালের দু’কামরার বাড়িতে স্ত্রী মরিয়াম ও ছয় ছেলেমেয়েকে নিয়ে ছিল আলিমুদ্দিনের সংসার। সংসারের রোজগেরে বলতে তিনিই ছিলেন। তাঁর বছর দশেকের ছেলে শাহবাজ বুঝতে পারছে এই নৃশংস ঘটনার কথা। তার কথায়, ‘‘বাবা বলল দুপুরে বাড়ি এসে খাবে। অপেক্ষায় ছিলাম। বাবা আর ফিরলই না!’’