Advertisement
E-Paper

ঘিরে ফেলেছে ২০,০০০ সেনা, কেউ পালাচ্ছেন, কেউ রয়েছেন গা-ঢাকা দিয়ে, সপ্তম দিনে ছত্তীসগঢ়ের মাওবাদী দমন অভিযান

গত ২১ এপ্রিল থেকে কারেগুট্টা পাহাড় এলাকায় শুরু হয়েছে মাওবাদী দমন অভিযান। সিআরপিএফের জঙ্গলযুদ্ধে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডো বাহিনী ‘কোবরা’র পাশাপাশি ছত্তীসগঢ়ের সশস্ত্র পুলিশ ও ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড বাহিনী, মহারাষ্ট্র পুলিশের সি-৬০, তেলঙ্গানা পুলিশের মাওবাদী দমন বাহিনী রয়েছে অভিযানকারী দলে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:০১

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ছত্তীসগঢ়-তেলঙ্গানা সীমান্তে অবস্থিত বিজাপুরের কারেগুট্টা পাহাড়ের ঘন জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়ে চলছে ‘দেশের বৃহত্তম মাওবাদী দমন অভিযান।’ সেই অভিযান সোমবার পা রাখল সপ্তম দিনে। পুলিশের এক জন ঊর্ধ্বতন কর্তা জানালেন, বেশ কয়েক জন প্রাণভয়ে পালালেও এখনও বেশ কয়েক জন মাওবাদী এলাকায় আত্মগোপন করে রয়েছেন। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও করছেন কেউ কেউ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘‘কয়েক জন মাওবাদী ঘন জঙ্গলে লুকিয়ে রয়েছেন। কেউ কেউ পালাচ্ছেন। কেউ আবার পাল্টা প্রত্যাঘাতের পরিকল্পনা করছেন। তবে গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও সেনার যৌথ দল। যত ক্ষণ না মাওবাদীরা ধরা পড়েন, অভিযান চলবে।’’ সূত্রের খবর, একটি বৃহৎ প্রাকৃতিক গুহারও খোঁজ পেয়েছেন নিরাপত্তাকর্মীরা, যা মাওবাদীদের আস্তানা ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া, বাঁশ, পলিথিন, মাটি এবং ঘাস দিয়ে ঢেকে রাখা একটি বিশালাকৃতি গর্তও খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা, যেখানে মাওবাদীরা প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিলেন।

গত ২১ এপ্রিল থেকে কারেগুট্টা পাহাড় এলাকায় শুরু হয়েছে মাওবাদী দমন অভিযান। কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের জঙ্গলযুদ্ধে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডো বাহিনী ‘কোবরা’র পাশাপাশি ছত্তীসগঢ়ের সশস্ত্র পুলিশ ও ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড বাহিনী, মহারাষ্ট্র পুলিশের সি-৬০, তেলঙ্গানা পুলিশের মাওবাদী দমন বাহিনী রয়েছে অভিযানকারী দলে। গত ছ’দিনে গুলির লড়াইয়ে আট মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার অভিযানের ষষ্ঠ দিনে নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-এর সশস্ত্র শাখা পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি (পিএলজিএ)-র পুঁতে রাখা একটি আইইডি বিস্ফোরণে সিআরপিএফের এক জওয়ান আহত হন। তার পরেই আরও কড়া হাতে মাওবাদী দমনে নেমেছে নিরাপত্তাবাহিনী। গত শুক্রবারই মাওবাদীদের ‘অন্তিম হুঁশিয়ারি’ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত আত্মসমর্পণ না করলে কারেগুট্টা এবং দুর্গামগুট্টা পাহাড়ে পিএলজিএ-র ১ নম্বর ব্যাটেলিয়নের ঘাঁটি লক্ষ্য করে ‘চূড়ান্ত অভিযান’ চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সেনা।

Maoists Chhattisgarh bijapur Naxalites
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy