ধসে ভেঙেছে সেতু। চলছে সারাইয়ের কাজ। লাহুল-স্পিতিতে। ছবি: পিটিআই।
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্মুখীন দেশের মধ্য ও উত্তর-পশ্চিমের রাজ্যগুলি। একাধিক জায়গায় তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশ।
আজ উত্তরাখণ্ডের চামোলী জেলার জোশীমঠে জে পি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাছে প্রবল বর্ষণে পাহাড়ের একাংশে ধস নামে। স্থানীয় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালেও একই জায়গায় ধস নেমেছিল। এ দিকে বুধবারই প্রবল বর্ষণ ও ভূমিধসের জেরে বন্ধ হয়ে যায় জোশীমঠ-বদ্রীনাথ সড়কপথ।
অন্য দিকে গত কাল হিমাচলের সোলান জেলায় ধসের জেরে মৃত্যু হয়েছে ২২ বছরের এক যুবকের। গুরুতর আহত আরও দু’জন। মৃত লালু রাম উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, ধসে নাহন-কুমারহট্টী জাতীয় সড়কে ব্যাপক ভাবে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
ভারী বৃষ্টিপাতে ক্ষতিগ্রস্ত মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানও। প্রবল বন্যায় মধ্যপ্রদেশের দতিয়া জেলায় তিনটি সেতু ভেঙে পড়েছে। দতিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে গ্বালিয়রের। মড়ীখেড়া বাঁধ থেকে জল ছাড়ায় এই বিপত্তি। আজ প্রবল জলোচ্ছ্বাসে সনকুয়ার কাছে সিন্ধ নদীর উপরে একটি সেতু ভেঙে পড়ে। অন্য দু’টি সেতু ভেঙে পড়ে গত কালই।
রাজস্থানেও গত দু’দিনে টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চম্বল নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় সতর্কতা জারি হয়েছে মধ্যপ্রদেশেও। বিশেষ করে ঝুকরী ও ফতেপুর এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy