ফাইল চিত্র।
চিন এবং উত্তর কোরিয়ার চাপ অগ্রাহ্য করেই ভারতের কাছ থেকে সাবমেরিন কিনল মায়ানমার। অগ্নিগর্ভ প্রতিবেশী বলয়ের মধ্যে বসবাস করা সাউথ ব্লকের কাছ বিষয়টি অত্যন্ত স্বস্তির বলেই মনে করছে কূটনৈতিক শিবির। দীর্ঘদিন ধরে এই সাবমেরিনটি বিক্রি করা নিয়ে টানাপড়েন চলছিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে।
মায়ানমারে চিনের আধিপত্য খর্ব করার জন্য বেশ কিছু দিন ধরেই সক্রিয় নয়াদিল্লি। অন্য দিকে সে দেশে পরোক্ষে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করে ভারতের ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলার কৌশল নিয়েছে চিন। এই পরিস্থিতিতে সে দেশের সেনার ভারতের কাছ থেকে পাওয়া সাবমেরিন ব্যবহার করার কৌশলগত গুরুত্ব যথেষ্ট বলেই মনে করছে নয়াদিল্লি।
সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে সাবমেরিন নিয়ে কথা বলতে চিন গিয়েছিল মায়ানমারের একটি প্রতিনিধিদল। কিন্তু চিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, শুধু সাবমেরিন নয়, তারা মায়ানমারে সেটিকে রাখার জন্য পরিকাঠামো তৈরি করবে, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ দলও নিয়োগ করবে। এক কথায়, একটি সাবমেরিনকে কেন্দ্র করে নিজেদের ঘাঁটি বিস্তার করতে যে আগ্রহী বেজিং, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়। ঘটনা হল, অতীতেও বারবার চিন এ ভাবেই সামরিক বশ্যতা স্বীকার করিয়েছে মায়ানমারকে। কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, এ বারে তা সম্ভব হল না ভারতের লাগাতার দৌত্যের কারণে। আর সেটাই স্বস্তি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy