—প্রতীকী চিত্র।
হস্টেলের ঘরের সিলিং থেকে এক ডাক্তারি পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য দিল্লির মৌলানা আজাদ মেডিক্যাল কলেজে। মৃতার বয়স ২৩ বছর। তিনি এমবিবিএসের চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, তারা এই মৃত্যুর খবর পায় সোমবার দুপুরে। দেড়টা নাগাদ থানায় একটি ফোন আসে। তাতে বলা হয় হস্টেলের ঘরে এক ছাত্রীকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ওই ডাক্তারি পড়ুয়াকে। ওই হস্টেলের আবাসিকেরা দাবি করেছেন, ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। একই কথা বলছেন কলেজ কর্তৃপক্ষও। যদিও এ নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত করছে পুলিশ।
পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, হস্টেলের একটি ঘরের সিলিং ফ্যানে ওড়না জড়িয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় এক তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে ওই ডাক্তারি পড়ুয়া হস্টেলের যে ঘরে থাকতেন এবং তাঁর ব্যবহার্য জিনিসপত্রে কোথাও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি।
ইতিমধ্যে মৃতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই ডাক্তারি পড়ুয়ার পরিচয় সামনে আনতে চাইছেন না তদন্তকারীরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। তদন্তের স্বার্থে মৃতার বেশ কয়েক জন সহপাঠী এবং ওই হস্টেলের আবাসিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কথা বলা হচ্ছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও। কী কারণে ছাত্রীর মৃত্যু হল, আত্মহত্যা যদি করে থাকেন, তার কারণ কী, এ নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। অন্য দিকে, ওই ঘটনার পর হস্টেলের আবাসিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy