Advertisement
E-Paper

চিকিৎসায় গাফিলতি, উত্তপ্ত হাসপাতাল

রোগীকে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে গত রাতেই উত্তেজনা ছড়িয়েছিল হাইলাকান্দির এস কে রায় হাসপাতালে। আজ ফের ভুল ওষুধ দেওয়ার নালিশ তুললেন অন্য এক রোগীর আত্মীয়রা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:৩৩

রোগীকে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে গত রাতেই উত্তেজনা ছড়িয়েছিল হাইলাকান্দির এস কে রায় হাসপাতালে। আজ ফের ভুল ওষুধ দেওয়ার নালিশ তুললেন অন্য এক রোগীর আত্মীয়রা।

তাঁদের বক্তব্য, আজ লক্ষ্মীনগর এলাকার নিজামউদ্দিন ওই হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে এসেছিলেন। চিকিৎসক গ্যাস কমানোর ওষুধ লিখে দিয়েছিলেন। অভিযোগ, হাসপাতালের কর্মী মৃণ্ময় মজুমদার তাঁকে ভুল ওষুধ দেন। তা নিয়ে শুরু হয় হইচই। হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত রাতে আবু সুফিয়ান নামে বছর তেরোর এক কিশোরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। নার্স তাকে স্যালাইন দেন। কিন্তু এর পর ওই কিশোর আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার বাড়ির লোকরা দেখেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। তার জেরে সেখানে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে জেলাশাসক মলয় বরা, সার্কেল অফিসার সরফরাজ হক, জেলার যুগ্ম স্বাস্থ্য সঞ্চালক উমেশ ফাংচু হাসপাতালে পৌঁছন।

ওই কিশোরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিলচরের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পেয়ে রাতেই কর্তব্য গাফিলতির দায়ে হাসপাতালের প্রশাসনিক ইন-চার্জ ভাস্কর দাস, নার্স শান্তা শর্মা রায়, ফার্মাসিস্ট ফকরউদ্দিন লস্কর এবং মেট্রন কমলা পুরকায়স্থকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ জারি করেন জেলাশাসক। এ দিন সকালে যুগ্ম স্বাস্থ্য সঞ্চালককে সঙ্গে নিয়ে ফের হাসপাতালে যান জেলাশাসক। মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন বাজেয়াপ্ত করেন। হাসপাতালে কোনও অনিয়ম বা কর্তব্য গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না বলে জানান জেলাশাসক।

জেলাশাসক ফিরে যাওয়ার পর পরই রোগীকে ভূল ওষুধ দেওয়ার ঘটনা ঘটে। ফের উত্তেজনা ছড়ায়। হাইলাকান্দির যুগ্ম স্বাস্থ্য সঞ্চালক উমেশ ফাংচু বলেন, ‘‘ঘটনায় জড়িত ফার্মাসিস্টের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

অন্য দিকে, হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়ের যাতায়াত নিয়ে উত্তেজনা ছড়াল করিমগঞ্জে। নিরাপত্তারক্ষী এবং রোগীর পরিজনদের মধ্যে হাতাহাতি হয় বলে অভিযোগ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ডিমপুর গ্রামের সাবানা বেগম সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। আজ বিকেলে তাঁর কয়েক জন আত্মীয় একসঙ্গে রেডক্রস হাসপাতালে ঢুকতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দেন। তাঁরা জানান, একই রোগীর একাধিক আত্মীয় একসঙ্গে হাসপাতালের ঢুকতে পারবেন না। কিন্তু ওই কথায় কেউ কান দেননি বলে অভিযোগ। এ নিয়ে হাতাহাতি শুরু হয়। হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি সামলায়। সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

Medical Negligence
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy