প্রমোদ সবন্ত। ফেসবুক থেকে নেওয়া।
রাজনৈতিক সঙ্কট কাটাতে মরিয়া ছিল বিজেপি। সোমবার রাত ২টো নাগাদ গোয়ার একাদশতম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার প্রমোদ সবন্ত। প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের ‘অত্যন্ত কাছের মানুষ’ বলে পরিচিত সবন্ত। অনেকেই তাঁকে পর্রীকরের ‘কান’ বলতেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে কী রতেন প্রমোদ? এই নেতা বহুমুখী প্রতিভাসম্পন্ন, বলছেন অনেকেই। গোয়াতেই ডাক্তারি করতেন প্রমোদ।
৪৫ বছরের সবন্ত মহারাষ্ট্রের কোলহাপুরের গঙ্গা আয়ু্র্বেদিক মেডিক্যাল কলেজের স্নাতক। গোয়াতেই আয়ুর্বেদ প্র্যাক্টিস করতেন তিনি। পরবর্তীতে পুণে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তিলক মহারাষ্ট্র বিদ্যাপীঠ থেকে সোশ্যাল ওয়েলফেয়ারে স্নাতকোত্তর স্তরের পাঠ শেষ করেন তিনি। তার আগে থেকেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করতেন তিনি।
গোয়ার উত্তরে খনি এলকায় পরিচিত নাম ছিলেন প্রমোদ। পরবর্তীতে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘দয়ার দান চাই না, আত্মহত্যার অনুমতি দিন’, যোগীকে প্রকল্পের টাকা ফেরত দিয়ে চিঠি কৃষকের
খনি এলাকায় প্রমোদের পরিচিতি বিজেপির সুবিধা বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই এলাকারই বিধায়ক তিনি। প্রমোদ দলীয় কর্মীদের কাছে বিনয়ী, নম্র স্বভাবের মানুষ হিসেবেই পরিচিত, এমনটাই জানান গোয়া বিজেপির মুখপাত্র দত্তপ্রসাদ নায়েক। তিনি জানান, প্রমোদ একাই নন। প্রমোদের স্ত্রীও সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত। বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য সভাপতি প্রমোদের স্ত্রী সুলক্ষণা।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের আকাশ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, ক্ষতির মুখে এয়ার ইন্ডিয়া
বহু বছর ধরেই সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত প্রমোদ। তাই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবেন তিনি, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও মনোহর পর্রীকরের উত্তরাধিকার হিসাবে তাঁকে মনোনীত করা অবশ্য মোটেই সহজ ছিল না বিজেপি নেতৃত্বের কাছে। মুখ্যমন্ত্রিত্বের জন্য দাবি তুলেছিলেন বিজেপির দুই শরিক এমজিপি এবং জিএফপি।
লোকসভা নির্বাচন নিয়ে এ গুলি জানতেন?
বিজেপির অন্দরেও মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে ছিলেন প্রমোদ এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রাণে। তবে মুখ্যমন্ত্রী হতে প্রমোদকে যথেষ্ট কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে, এমনটাই বলছে সূত্র।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পর্রীকরের মৃত্যুর পরই পরিস্থিতিটা আরও জটিল হয়ে ওঠে। মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব কার হাতে তুলে দেওয়া হবে তা নিয়ে আলোচনা করতে রবিবার রাতেই গোয়ায় ছুটে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy