ফের গৃহবন্দি জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং তাঁরকন্যা তথা পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি)-র নেত্রী ইলতিজা মুফতি। বারামুলা জেলার সোপোর এবং কাঠুয়া যাওয়ার আগেই শনিবার গৃহবন্দি করা হয়েছে তাঁদের। বুধবার রাতে সোপোরে সেনার গুলিতে মৃত্যু হয় ওয়াসিম মীর নামে এক ট্রাক চালকের। জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকায় অভিযুক্ত এক যুবকেরও আত্মঘাতী হওয়ার খবর মেলে। তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগেই ফের গৃহবন্দি করা হয়েছে মেহবুবাদের।
গত বুধবার কাঠুয়ায় নিজের ঘরের মধ্যেই মাখান দিন (২৬) নামে এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়, ‘হেনস্থা’র জেরে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। এক কালে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকা স্বরু গুজ্জরের আত্মীয় মাখানের বিরুদ্ধেও জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল। তাঁর আত্মহত্যার ঘটনার পরে মাখানের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন মেহবুবারা। একই সঙ্গে সোপোরেও যাওয়ার কথা ছিল মেহবুবাদের। সেনার গুলিতে ট্রাক চালক ওয়াসিম মীরের মৃত্যুর ঘটনার পরে তাঁর পরিবারের সঙ্গেও দেখা করতেন তাঁরা। তবে এর আগেই আজ গৃহবন্দি করা হয়েছে তাঁদের। মেহবুবা-কন্যা ইলতিজা এক্স মাধ্যমে করা একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘মাখান দিনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল আমাদের। তারও অনুমতি মিলছে না। নির্বাচনের পরেও কাশ্মীরে কিছুই বদল আসেনি। মানুষের পাশে দাঁড়ানোও এখন অপরাধ হিসেবে দেখা হচ্ছে’। তাঁর দাবি, জম্মু-কাশ্মীরে নির্বাচিত সরকার এলেও আইন-শৃঙ্খলা এখনওকেন্দ্রের হাতে।
জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা অবশ্য জানিয়েছেন, দু’টি মৃত্যুর ঘটনাই খতিয়ে দেখা হবে। কেন্দ্রের নজরে আনা হবে এই মৃত্যুর ঘটনাগুলি, এমনটাও আশ্বাস তাঁর। এক্স মাধ্যমে দেওয়া বার্তায় ওমর লিখেছেন, ‘দু’টি মৃত্যুর ঘটনাই বেশ দুর্ভাগ্যজনক। মাখান দিনকে কী ভাবে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন অত্যাচার করা হত, তা আমি দেখেছি। কী কারণে ওয়াসিমকে গুলি করল সেনা, তা-ও এখনও স্পষ্ট নয়।’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)