প্রতীকী চিত্র।
১১ বছরের মেয়েকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। তার পর নিজের হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই মহিলা। মৃত নাবালিকার বাবার দাবি, তাঁর স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন। চিকিৎসা চলছিল তাঁর। তবে গত তিন দিন ধরে ডাক্তারের দেওয়া ওষুধ খাননি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মুম্বইয়ের বোরিভালির কস্তুরবা মার্গ থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। মহিলার স্বামী ঘটনাটি থানায় জানান। পুলিশ এসে নাবালিকা এবং জখম মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকেরা নাবালিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসা চলছে আহত মহিলার।
জানা গিয়েছে, বোরিভালির এলাকার একটি আবাসনে স্বামী-সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন অভিযুক্ত মহিলা। পুলিশের কাছে মহিলার স্বামী জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী গত ১০ বছর ধরে মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। আন্ধেরি এবং বরোদার দু’টি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল। তবে তিন দিন কেন ওষুধ খাননি, তা জানেন না বলেই পুলিশের কাছে দাবি করেছেন মহিলার স্বামী।
পুলিশ সূত্রে খবর ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে। খাওয়া দাওয়ার পর মেয়েকে নিয়ে ফ্ল্যাটের একটা ঘরে ঘুমোতে যান অভিযুক্ত মহিলা। তাঁর স্বামী অন্য ঘরে থাকতেন। কিছু ক্ষণ পরেই মেয়ের চিৎকার শুনে ছুটে আসেন তিনি। বন্ধ দরজায় ধাক্কাও দেন। তবে কেউ দরজা খুলে দেয়নি। তার পরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরের মধ্যে ঢোকে। ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় মহিলাকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁর হাতের শিরা কাটা। মহিলার পাশেই পড়েছিল নাবালিকা। তার গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল। পুলিশ তৎক্ষণাৎ তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। মৃত নাবালিকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কস্তুরবা মার্গ থানার এক পুলিশ অফিসার সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) ধারায় মামলা দায়ের করে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। মৃতার বাবা এবং মায়ের জবানবন্দি নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’’
এমন ঘটনায় হতভম্ব আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দারা। তাঁদের কথায়, ‘‘মেয়েটি খুবই হাসিখুশি ছিল। কয়েক দিন আগে আবাসনের বাৎসরিক অনুষ্ঠানে নেচেছিল। সকলের সঙ্গে ভাল ভাবে কথা বলত। সে আর নেই, সেটা বিশ্বাসই করা যাচ্ছে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy