Advertisement
২৯ এপ্রিল ২০২৪
Migrant

১১০০ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে বাড়ি ফিরলেন তিন পরিযায়ী শ্রমিক, প্রশ্নের মুখে প্রশাসন

তিন শ্রমিকের কথায়, রাজ্যে অনেক সরকারি প্রকল্পের কথা শুনেছেন তাঁরা। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখেছেন সইসাবুদ করে সেই কাজ পেতে পেতে বছর গড়িয়ে যায়।

বাধ্য হয়েই বাড়ি ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন তিন পরিযায়ী শ্রমিক।

বাধ্য হয়েই বাড়ি ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন তিন পরিযায়ী শ্রমিক। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
ভুবনেশ্বর শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:৪০
Share: Save:

নিজের রাজ্যে কাজ না পেয়ে রোজগারের সন্ধানে ভিন্‌রাজ্যে গিয়েছিলেন ৩ যুবক। ২ মাস পরে প্রায় ১১০০ কিলোমিটার পথ হেঁটে বাড়ি ফিরতে হল তাঁদের। তাঁরা জানিয়েছেন, ভিন্‌রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে উল্টে শারীরিক অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন তাঁরা। এমনকি, তাঁদের দিয়ে অমানুষিক পরিশ্রম করানোর পরও তাদের এক নয়া পারিশ্রমিক দেওয়া হয়নি। কপর্দকহীন হয়ে বাধ্য হয়েই ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। কিন্তু টাকা না থাকায় কোনও যানবাহনে উঠতে পারেননি। বেঙ্গালুরুতে কাজের সন্ধানে গিয়েছিলেন সেখান থেকে ওড়িশায় নিজের রাজ্যে তাঁরা ফেরেন পায়ে হেঁটে। ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনা শুরু হয়েছে ওড়িশা প্রশাসনের।

৩ শ্রমিক ওড়িশার কালাহান্ডি জেলার বাসিন্দা। তাঁরা জানিয়েছেন, রাজ্যে কাজ পাওয়ার অনেক রকম সরকারি প্রকল্পের কথা শুনেছেন তাঁরা। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখতে পান ওই সব প্রকল্পের নথিপত্র সই করতেই বছর কাবার হয়ে যায়। বাধ্য হয়েই কাজের সন্ধানে কর্নাটকের শহর বেঙ্গালুরুতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে গিয়ে কাজও পান। তিন যুবক জানিয়েছেন, কাজের নামে অমানুষিক অত্যাচার শুরু হয় তাঁদের উপর। মাসের শেষে পারিশ্রমিক চাইতে গেলে জানিয়ে দেওয়া হয় টাকা দেওয়া হবে না। বাধ্য হয়েই বাড়ি ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। কিন্তু সঙ্গে টাকা না থাকায় হাঁটতে হয়। কর্নাটক থেকে ওড়িশার ১১০০ কিলোমিটার পথ হাঁটতে আট দিন সময় লাগে তাঁদের।

তিন শ্রমিক জানিয়েছেন, ওই ৮ দিনে তাঁদের অবস্থা দেখে দয়া হওয়ায় অনেকে অর্থ এবং খাবার দিয়েও সাহায্য করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Migrant labourer
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE