প্রতীকী চিত্র।
একা ‘বিপর্যয়ে’ রক্ষা নেই, ভূমিকম্প দোসর। বৃহস্পতিবার গুজরাতের উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা আরব সাগরের শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়ের’। তার ঠিক ১ দিন আগে কচ্ছ জেলার মাটি কেঁপে উঠল। ভূমিকম্পের মাত্রা বেশি না হলেও ঘূর্ণিঝড়ের আবহে তা নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে উপকূলবর্তী এলাকায়। রিখটার স্কেলে বুধবারের ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩.৫।
গান্ধীনগরের ইনস্টিটিউট অফ সিসমোলজিক্যাল রিসার্চ জানিয়েছে, বুধবার বিকেল ৫.০৫ নাগাদ কচ্ছে ভূমিকম্প হয়। কম্পনের উৎসস্থল ছিল ভচাউ থেকে পাঁচ কিলোমিটার পশ্চিম দক্ষিণ-পশ্চিমে। তবে এর ফলে কোনও ক্ষয়ক্ষতির কথা জানা যায়নি।
ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়ের’ মোকাবিলায় কোমর বেঁধেছে গুজরাত। ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে সেখানে। সমুদ্রও উত্তাল আকার নিয়েছে। উপকূল এলাকা থেকে প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সৌরাষ্ট্র, দ্বারকা এবং কচ্ছে লাল সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, গুজরাত এবং পাকিস্তানের মধ্যবর্তী উপকূলের উপর দিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ ১৫০ কিমি বেগে বইবে ঝড়। ওই সময় ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ স্থলভাগে প্রবেশ করবে এবং উত্তর দিকে অগ্রসর হবে। উপকূল এলাকাগুলিতে এর ফলে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় অনেক বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে। ফলে বিদ্যুৎ পরিষেবা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে। উপড়ে গিয়েছে বহু গাছও।
‘বিপর্যয়’-এর জেরে গুজরাতের উপকূল এলাকায় অনেক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গুজরাতগামী অথবা গুজরাত থেকে রওনা দেওয়ার কথা ছিল এমন ৯৫টি ট্রেন বাতিল হয়েছে। বেশ কিছু ট্রেনের গতিপথ সংক্ষিপ্ত করেছে পশ্চিম রেল। বিমান পরিষেবাও বার বার ব্যাহত হয়েছে ‘বিপর্যয়ের’ ভ্রুকুটিতে। গুজরাতের উপকূলে মোতায়েন করা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৭টি দল এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১২টি দল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছেন তাঁরা। প্রস্তুত রয়েছে সেনাবাহিনীও। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সেনার প্রস্তুতি নিয়ে বুধবার বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy