ঠিক কুড়ি দিন পরে আজ লাদাখের ভারতীয় ভূখণ্ড চুশুলে সামরিক স্তরে আলোচনায় বসল ভারত-চিন। সূত্রের খবর, ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে চিনা ফৌজের সম্পূর্ণ পিছু হটার দাবি জানিয়েছে ভারত। পিছু হটার জন্য একটি পরিকল্পনার খসড়াও দেওয়া হয়েছে চিনা সেনার হাতে। প্রথমে গালওয়ান এলাকার ভূখণ্ড, তার পর প্যাংগং হ্রদের উত্তর ভাগ এবং সব শেষে বর্তমান সংঘর্ষবিন্দু অর্থাৎ হ্রদের দক্ষিণ ভাগ থেকে লাল ফৌজ সরানোর দাবি জানানো হয়েছে।
এ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে সামরিক স্তরে সাত বার বৈঠক হল। প্রতিরক্ষা সূত্রের দাবি, গত ২২ সেপ্টেম্বরের বৈঠকেও এই পরিকল্পনা নিয়েই বেজিং-এর সঙ্গে কথা হয়েছিল। এটাই ভারতের বরাবরের অবস্থান। ভারত এপ্রিলের আগে যে সব পোস্টে টহল দিতে পারত সেই এলাকাগুলি ফেরত না পেলে সীমান্ত সংক্রান্ত কোনও আলোচনাই যে ফলপ্রসূ হবে না সে কথা আজ ভারতের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। প্যাংগং সন্নিহিত পাঁচ থেকে আট নম্বর ফিঙ্গার (গিরিশিখর) পর্যন্ত ভারত যেন আগের মতোই টহল দিতে পারে, এটাকে আবশ্যিক শর্ত হিসাবে তুলে ধরেছে দিল্লি।
সেনা সূত্রের মতে, এ ছাড়া ডেপসাং এলাকায় চিনা সেনার উপস্থিতির কারণে দৌলত–বেগ ওল্ডি রোডে ভারতীয় সেনার টহল দিতে যে সমস্যা হচ্ছে, তা নিয়েও আজ কথা হয়েছে। অন্য দিকে চিনের বক্তব্য, সেনা সরানোর প্রক্রিয়াটি তখনই শুরু হবে, যখন ভারতও প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে নিজেদের সেনা পিছোবে। ভারত স্বাভাবিক ভাবেই এই শর্তে সম্মত নয়। আজ ‘বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন’-এর তৈরি ৪৪টি সেতু উদ্বোধনের সময়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ফের বলেন, ‘‘পাকিস্তান ও চিন মিলে সীমান্ত সমস্যা তৈরির চেষ্টা করছে। এই দুই দেশের সঙ্গে আমাদের ৭ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত আছে।’’