কয়েক বছর আগে পাকিস্তানে একটি তালিকা পাঠিয়েছিল ভারত। দুই দেশের মধ্যে যদি এখন সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়, তবে তার মূলে থাকবে ওই তালিকাই। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। এ-ও স্পষ্ট করে দিলেন, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে কোনও আলোচনা হবে দ্বিপাক্ষিক। তৃতীয় কোনও পক্ষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবেও আলোচনায় থাকতে পারবে না।
গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার ঘটেছিল, যাতে মৃত্যু হয়েছিল ২৬ জনের। সেই ঘটনার এক মাস কেটে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রণধীর বলেন, ‘‘ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যা কিছু আলোচনা হবে, তা দ্বিপাক্ষিক ভাবেই হবে। একই সঙ্গে আমি এটাও মনে করিয়ে দিতে চাই যে, আলোচনা এবং সন্ত্রাসবাদ একসঙ্গে চলতে পারে না। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। কিন্তু সেই আলোচনা হবে কেবল একটাই বিষয়ে। কয়েক বছর আগে ভারত একটি তালিকা পাঠিয়েছিল পাকিস্তানে। তাতে বেশ কয়েক জন সন্ত্রাসবাদীর নাম ছিল, যারা পাকিস্তানে আছে। কবে পাকিস্তান তাদের ভারতের হাতে তুলে দেবে, শুধু তা নিয়েই আলোচনা হতে পারে।’’
আরও পড়ুন:
জম্মু-কাশ্মীরের বিষয়েও ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা হতে পারে, জানিয়েছেন রণধীর। তিনি বলেন, ‘‘জম্মু-কাশ্মীরের বিষয়েও একটা জিনিস নিয়েই ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। জম্মু-কাশ্মীরের যে অংশ বেআইনি ভাবে পাকিস্তান আটকে রেখেছে, তা দ্রুত ছেড়ে দিতে হবে।’’
পহেলগাঁও হামলার পর পাকিস্তানে গত ৬ মে মধ্যরাতে প্রত্যাঘাত করে ভারত। প্রত্যাঘাতের সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। পাকিস্তানে হামলা চালিয়ে একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। তার পর পাকিস্তানও পাল্টা হামলা চালায়। দুই দেশের সংঘর্ষ চলে টানা চার দিন। গত ১০ মে ভারত এবং পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়। তবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এখনও তলানিতে। পহেলগাঁও কাণ্ডে পাকিস্তানকে দায়ী করে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করে দিয়েছিল ভারত। রণধীর জানান, এখনও ওই চুক্তি স্থগিতই রয়েছে। পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়া না-থামানো পর্যন্ত সিন্ধু চুক্তি স্থগিত থাকবে।