ডিএমকে-র নয়া সভাপতি মনোনীত হলেন সদ্যপ্রয়াত এম করুণানিধির ছেলে স্ট্যালিন। ছবি: পিটিআই।
মাত্র ১৪ বছর বয়সেই দলের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছিলেন। পাঁচ দশক পর সেই দলেরই শীর্ষ পদে বসলেন এম কে স্ট্যালিন।
মঙ্গলবার ডিএমকে-র সাধারণ পর্ষদের বৈঠকে সর্বসম্মতিতে নেতা হিসাবে মনোনীত হলেন সদ্যপ্রয়াত এম করুণানিধির ছেলে ৬৫ বছরের স্ট্যালিন।দ্রাবিড় রাজনীতিতে অন্যতম প্রধান পরিবারের উত্তরাধিকারী হিসাবে স্ট্যালিনের শাসন কায়েম হল।
এম করণানিধির মৃত্যুর পর থেকেই ডিএমকে-র সভাপতি হিসাবে স্ট্যালিনের নাম উঠে আসে। এ দিন দলের সভায় আনুষ্ঠানিক ভাবে তাতে সিলমোহর পড়ল। পাশাপাশি, করুণানিধিকে ভারতরত্ন দেওয়ার প্রস্তাবও করা হয়।
সভাপতি হিসাবে মনোনয়ন জমা দিলেও মঙ্গলবার সর্বসম্মতিতেই দলের দায়িত্ব পেলেন স্ট্যালিন। ছবি: পিটিআই।
চেন্নাইয়ে সভায় এ দিন হাজির ছিলেন ডিএমকে-র প্রায় চার হাজার সদস্য। সি এন আন্নাদুরাই এবং এম করুণানিধির পর দলের তৃতীয় সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন স্ট্যালিন। এ ছাড়া, দলের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি দুরাই মুরুগন কোষাধ্যক্ষে নির্বাচিত হন। বৈঠকে স্থির হয়, করণানিধিকে মরণোত্তর ভারতরত্ন দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ করা হবে।
আরও পড়ুন
হায়দরাবাদের বাড়ি থেকে ভারাভারা রাওকে তুলে নিয়ে গেল পুণে পুলিশ
ডিএমকে-র শীর্ষ পদে স্ট্যালিনের উঠে আসাটায় কোনও চমক নেই। ১৯৬৭-এ মাত্র ১৪ বছরের কিশোর স্ট্যালিনের তামিলনাড়ুর বিধানসভা নির্বাচনে দলের হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন। এর পর যুবদলের নেতা থেকে শুরু করে নানা সময়ে একে একে দলের বিভিন্ন পদে থেকেছেন। করুণানিধি জীবিত থাকাকালীন কার্যকরী সভাপতি হিসাবেও দলের দায়িত্ব সামলেছেন। থাউস্যান্ড লাইটস বিধানসভা কেন্দ্রের চার বারের বিধায়ক এক সময় চেন্নাইয়ের মেয়র পদেও আসীন ছিলেন।
আরও পড়ুন
গোধরাকাণ্ডে যাবজ্জীবন আরও দুই জনের
২০০৯-এ করুণানিধি সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনের সামনে এখন সবচেয়ে বড় লক্ষ্য, করুণানিধি এবং জয়ললিতার মৃত্যুর পর তামিলনাড়ুর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দলকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।আগামী বছরেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রয়েছে তিরুপরনকুন্দ্রম কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তবে শুধু রাজনৈতিক ও দলীয় পরিসরেই নয়, অন্দরেও লড়াইটা সহজ নয়। করুণানিধির বড় ছেলে এম কে আলাগিরিকেও সামালাতে হবে স্ট্যালিনকে। ২০১৪-তে আলাগিরিকে দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল। এর পর থেকে দলে ফেরানোর জন্য স্ট্যালিনকে হুঁশিয়ারি দেন আলাগিরি। এ ছাড়া, গত বছর আর কে নগর কেন্দ্রে ডিএমকে-র খারাপ ফলের জন্য প্রকাশ্যে স্ট্যালিনের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন আলাগিরি। ফলে ঘরে-বাইরে দু’দিকেই সমান চ্যালেঞ্জের মুখে স্ট্যালিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy