একঘর মহিলা। মাইক হাতে নিয়ে মুচকি হাসছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। তাঁকে প্রশ্ন করা হচ্ছে, ‘‘আপনার ঠাকুরমাকে বলা হত লৌহ-নারী। আপনার মা সনিয়া গাঁধী পরিচিত তাঁর ধৈর্য আর দৃঢ়তার জন্য। আর আপনার বোন প্রিয়ঙ্কার আত্মবিশ্বাস এতটাই যে, সব আধুনিক মহিলা তাঁর মতো হতে চান। মহিলাদের সম্পর্কে আপনার উপদেশ কী?’’
বিন্দুমাত্র সময় না নিয়ে রাহুল বললেন, ‘‘নিজের অধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যান। পুরুষের থেকে এক চিলতে দুর্বল মনে করবেন না নিজেকে।’’ তালিতে ফেটে পড়ল সভাঘর। ‘আন্তর্জাতিক মহিলা দিবস’ বলে ওড়িশা সফরের শুরুতেই আজ মহিলাদের নিয়ে পৃথক ‘টাউনহল’ অনুষ্ঠান করেন রাহুল। ঠিক যেমন উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে নিজের কেন্দ্রে গিয়ে নরেন্দ্র মোদীও আজ শুধু মহিলাদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
ভোট শিয়রে। গত লোকসভা ভোটেও দেশের ১৬টি রাজ্যে পুরুষদের থেকে বেশি ভোট দিয়েছেন মহিলারা। শতাংশের হিসাবেও সার্বিক ভাবে মহিলারা খুব বেশি পিছিয়ে নেই ভোটদানে। ফলে লোকসভা ভোটের মুখে মহিলাদের মন জয়ে কোনও পক্ষই পিছিয়ে থাকতে চাইল না। তিন দিন হয়ে গেল হ্যাক হওয়া বিজেপির ওয়েবসাইট এখনও চালু হয়নি। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ সকাল থেকেই মহিলাদের জন্য মোদীর পদক্ষেপের ঢালাও প্রচার করল বিজেপি। পরে
জনসভাতেও সেগুলি ফের শোনালেন প্রধানমন্ত্রী।
আর রাহুলও মহিলাদের সভায় স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দিলেন, ক্ষমতায় এলে মহিলাদের উচ্চশিক্ষা নিখরচায় করার ব্যবস্থা করবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী কথা রাখেননি। মহিলাদের বিরুদ্ধে অন্যায়ও রুখতে পারেননি। কংগ্রেসও দিনভর শোনাল, এর আগে সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী প্রধানমন্ত্রীকে মহিলা সংরক্ষণের জন্য চিঠি লিখেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী উচ্চবাচ্যই করেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy