রাজঘাটে মহাত্মা গাঁধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
মহাত্মা গাঁধী, অটলবিহারী বাজপেয়ী এবং সমস্ত শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে শপথ গ্রহণের দিন শুরু করলেন নরেন্দ্র মোদী।
আজ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় টানা দ্বিতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। এ দিন তাঁর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। এ দিন সকাল ৭টায় তিনি চলে যান রাজঘাটে। মহাত্মা গাঁধীর সমাধিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তিনি। তারপর যান প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর সমাধিতে। সেখান থেকে যান ইন্ডিয়া গেটের কাছে ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে।
অমিত শাহ, রবিশঙ্কর প্রসাদ, মেনকা গাঁধী, স্মৃতি ইরানি, জেপি নাড্ডার মতো বিজেপির উচ্চপর্যায়ের নেতা-মন্ত্রীরাও তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
৮ হাজারেরও বেশি অতিথি আমন্ত্রিত মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। আমন্ত্রিত বাংলাদেশ, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ড, নেপাল, ভুটান— বিমস্টেকের সব দেশের প্রতিনিধিরা। সকালেই ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং এবং মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী দিল্লি বিমানবন্দরে এসে পৌঁছন। তাঁদের স্বাগত জানাতে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে।
আরও পড়ুন: আজ ফের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে মোদী, শপথে না-গিয়ে ‘সংঘাতে’ মমতা
রাষ্ট্রপতি ভবনের ইতিহাসে সব চেয়ে বড় অনুষ্ঠান হতে চলেছে এটা। ভারতের সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, বিদেশি রাষ্ট্রনেতা, হবু মন্ত্রী ও তাঁদের পরিবারের ১০ জন করে সদস্য, সমস্ত নতুন সাংসদও আমন্ত্রিত এই অনুষ্ঠানে। অতিথির তালিকায় আরএসএস নেতা, শিক্ষাবিদ, চিত্রতারকা, শিক্ষা ও ক্রীড়া জগতের বিভিন্ন ব্যক্তিত্বও রয়েছেন।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রথমে যোগদানের কথা জানালেও পরে বেঁকে বসেছেন পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর যোগদান না করার সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা মনোজ তিওয়ারি এ দিন বলেন, “তাঁর আসাও উচিত নয়। গণতন্ত্রকে খুন করে যে ভাবে তিনি হিংসা প্রতিষ্ঠা করেছেন, তারপর এ রকম একটা অনুষ্ঠানে তিনি নিজের মুখ দেখাবেন কী করে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy