Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Rahul Gandhi

‘মোদী পদবির অবমাননা’: রাহুল গান্ধীর সাজা নিয়ে গুজরাত সরকারের মত জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

আগামী ৪ অগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই পর্যায়ে মামলার দীর্ঘায়িত শুনানির প্রয়োজন নেই। সাজার উপর স্থগিতাদেশ হবে না বহাল থাকবে, শুনানি হবে তা নিয়েই।

Modi surname defamation case: SC notice to BJP leader Purnesh Modi and Gujarat Govt on Rahul Gandhi’s appeal to stay conviction

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর আবেদনের শুনানি সুপ্রিম কোর্টে। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২৩ ১২:১১
Share: Save:

মোদী পদবি অবমাননার মামলায় সাজার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর আবেদনের প্রেক্ষিতে অভিযোগকারী বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদীকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি আরএস গাভাই এবং বিচারপতি পিকে মিশ্রের বেঞ্চ এই মামলায় অবস্থান জানতে নোটিস পাঠিয়েছে গুজরাত সরকারকেও। আগামী ৪ অগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার জানিয়েছে, এই পর্যায়ে মামলার দীর্ঘায়িত শুনানির প্রয়োজন নেই। সাজার উপর স্থগিতাদেশ হবে না বহাল থাকবে, শুনানি হবে তা নিয়েই।

‘অপরাধমূলক মানহানি’ মামলায় দোষী সাব্যস্ত রাহুলের দু’বছর জেলের যে সাজা গত ২৩ মার্চ সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দিয়েছিল, তার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে রাহুলের আবেদন গত ৭ জুলাই খারিজ করে দিয়েছিল গুজরাত হাই কোর্টের বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছকের বেঞ্চ। গুজরাত হাই কোর্টের আগে সুরাতের দায়রা আদালতও সাজার রায় বহাল রেখেছিল। সেই সাজার রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে শনিবার রাহুলের আইনজীবী শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন। আবেদনে বলা হয়, ‘‘যদি গুজরাত হাই কোর্টের ৭ জুলাইয়ের রায় স্থগিত না করা হয়, তবে তা বাক্‌স্বাধীনতা, মতপ্রকাশ, স্বাধীন চিন্তাভাবনার কণ্ঠরোধের পরিবেশ তৈরি করবে।’’ মঙ্গলবার রাহুলের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি শুক্রবার অথবা সোমবার মামলার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন।

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় কর্নাটকের কোলারে ‘মোদী’ পদবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে গত ২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা দু’বছর জেলের সাজা দিয়েছিলেন রাহুলকে। গুজরাতের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদীর দায়ের করা ওই ‘অপরাধমূলক মানহানি’ মামলায় দোষী রাহুলের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আবেদনের জন্য তাঁকে ৩০ দিন সময় দিয়েছিলেন বিচারক। সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায়ের ভিত্তিতে ২৪ মার্চ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেছিলেন।

এর পর রাহুল তাঁকে দোষী ঘোষণা এবং সাজার রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে গত ৩ এপ্রিল সুরাতেরই দায়রা আদালতে (সেশনস কোর্ট) আবেদন করেছিলেন। কিন্তু গত ২০ এপ্রিল অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আরপি মোগেরা সেই আবেদন খারিজ করে সাজা কার্যকরের রায় বহাল রাখেন। ফলে সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা হাতছাড়া হয় তাঁর। প্রসঙ্গত, বিচারক মোগেরা এক সময় একাধিক ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতা (বর্তমানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) অমিত শাহের আইনজীবী ছিলেন।

গত ৭ জুলাই গুজরাত হাই কোর্টের বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছকের বেঞ্চও সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায় বহাল রাখায় সাজা এড়াতে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন কেরলের ওয়েনাড়ের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ। আইনজীবীদের একাংশ মনে করেছেন, শীর্ষ আদালত যদি সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয়, তবে সাংসদ পদ ফিরে পেতে পারেন রাহুল। অন্য দিকে, সাজার উপর স্থগিতাদেশ দিলে জেলযাত্রা এড়ালেও সাংসদ পদে ফিরবেন না তিনি। অন্য দিকে, সুরাত দায়রা আদালত এবং গুজরাত হাই কোর্টের মতো রাহুলের আবেদন খারিজ হয়ে গেলে তাঁর জেলে যাওয়ার আশঙ্কা আরও বাড়বে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE