মধ্যপ্রদেশের ইনদওরের যুবক রাজা রঘুবংশীর ক্ষতবিক্ষত দেহ মিললেও এখনও তাঁর স্ত্রী সোনমকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তদন্তকারীদের অনুমান, দুষ্কৃতীরা সোনমকে অপহরণ করেছে। যেখান থেকে নিখোঁজ হয়ে যান দম্পতি, সেই জায়গা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরেই বাংলাদেশ সীমান্ত। আশঙ্কা করা হচ্ছে, দুষ্কৃতীরা সোনমকে অপহরণ করে বাংলাদেশে নিয়ে গিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য মেলেনি। তবে এ বার সোনমকে খুঁজতে সিবিআইয়ের সাহায্য চাইলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে এই ব্যাপারে দরবারও করেছেন তিনি।
গত মাসের ১১ তারিখে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রাজা এবং সোনম। ২০ মে মধুচন্দ্রিমায় মেঘালয়ে যান ওই নবদম্পতি। ২৩ মে-র পর থেকে আর ওই দম্পতির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি পরিবারের লোকেরা। ‘নিখোঁজ’ দম্পতির খোঁজে সরকারের দ্বারস্থ হন তাঁরা। গত ২ জুন রাজার দেহ মেলে সোহরায় (চেরাপুঞ্জি)। কিন্তু তাঁর স্ত্রীর খোঁজ এখনও মেলেনি। তাঁকে খুঁজতে বিভিন্ন প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে পুলিশ। মেঘালয়ের সোহরায় যেখানে গভীর খাদ থেকে রাজার দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেই জায়গার আশপাশের ৫০ কিলোমিটার এলাকা ঘিরে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি, গত এক মাসে ডবল ডেকার সেতুতে যে সব গাড়ি এসেছিল, সেই গাড়ির তথ্যও জোগাড় করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন:
তদন্তকারীরা এখনও পর্যন্ত যা জানতে পেরেছে তা হল সোহরায় একটি হোটেল ভাড়া করেছিলেন ওই দম্পতি। ২৪ মে একটি স্কুটি ভাড়া করেছিলেন। যান চেরাপুঞ্জির মৌলাকায়া গ্রামে। তার পর থেকে আর তাঁদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। প্রায় ১০ দিন পর রাজার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহের পাশ থেকে একটি ধারালো অস্ত্র এবং ফোন পাওয়া যায়। শুধু তা-ই নয়, একটি কালো বর্ষাতিও পেয়েছে পুলিশ। সেই বর্ষাতিতে বেশ কয়েকটি সন্দেহজনক দাগ মিলেছে। সেগুলি রক্তের দাগ কি না, তা স্পষ্ট হয়নি। তবে সেই বর্ষাতি কার তা-ও এখনও জানা যায়নি। নবদম্পতির রহস্যজনক ভাবে উধাও হওয়া, রাজার দেহ পাওয়া এবং সোনমের খোঁজ না-মেলা— এমন নানা প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা। এই পরিস্থিতিতে ওই নবদম্পতির পরিবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে। এ বার সোনমকে খুঁজে বার করতে একই দাবি জানালেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।