Advertisement
E-Paper

মেঘালয় থেকে অপহরণ করে বাংলাদেশে পাচার? মধ্যপ্রদেশের নববধূ সোনম নিখোঁজে বাড়ছে রহস্য, কী তথ্য উঠে এল

গত ১১ মে রাজা এবং সোনমের বিয়ে হয়েছিল। ২০ মে তাঁরা ইনদওর থেকে শিলংয়ে মধুচন্দ্রিমায় যান। ২৩ মে তাঁদের শেষ বার দেখা গিয়েছিল। ২ জুন রাজার দেহ উদ্ধার হয় সোহরায়।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২৫ ১১:৩৭
(বাঁ দিকে) সোনম রাজবংশী। তিনি এখনও নিখোঁজ। (ডান দিকে) সোনমের স্বামী রাজা। তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।

(বাঁ দিকে) সোনম রাজবংশী। তিনি এখনও নিখোঁজ। (ডান দিকে) সোনমের স্বামী রাজা। তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।

মধ্যপ্রদেশের ইনদওরের যুবক রাজা রঘুবংশীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হলেও এখনও খোঁজ মেলেনি তাঁর স্ত্রী সোনমের। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৩ মে দুপুর সওয়া ১টায় আত্মীয়দের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল সোনমের। মেঘালয়ে ঘুরতে গিয়ে যে স্কুটিটি রাজা এবং সোনম ভাড়া করেছিলেন, সেটিতে থাকা জিপিএস বলছে, দুপুর ২টো নাগাদ স্কুটির গতি শূন্য হয়েছিল। অর্থাৎ স্কুটিটি থামে। তার পর এই নবদম্পতির সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ করা যায়নি।

তদন্তকারীদের অনুমান, দুপুর ২টো থেকে আড়াইটের মধ্যে দম্পতির উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। লুটপাটে বাধা দেওয়ায় রাজাকে খুন করে তারা। আর সোনমকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। যেখান থেকে নিখোঁজ হয়ে যান দম্পতি, সেই জায়গা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরেই বাংলাদেশ সীমান্ত। আশঙ্কা করা হচ্ছে, দুষ্কৃতীরা সোনমকে অপহরণ করে বাংলাদেশে নিয়ে গিয়েছে। যদিও এর তথ্যপ্রমাণ এখনও পুলিশের হাতে আসেনি। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে মেঘালয় পুলিশ। সোনম এবং রাজার পরিবারও এই নিখোঁজ রহস্যের নেপথ্যে মানবপাচার চক্রের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছে।

সোনমের খোঁজে নানা রকম প্রযুক্তির সাহায্যও নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও মেঘালয়ের সোহরায় (চেরাপুঞ্জি) যেখানে গভীর খাদ থেকে রাজার দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেই জায়গার আশপাশের ৫০ কিলোমিটার এলাকা ঘিরে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি, গত এক মাসে ডবল ডেকার সেতুতে যে সব গাড়ি এসেছিল, সেই গাড়ির তথ্যও জোগাড় করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

পুলিশ সূত্রে খবর, ইনদওরের ওই দম্পতি সোহরার একটি হোটেলে উঠেছিলেন। তার পর তাঁরা চেরাপুঞ্জির মৌলাকায়া গ্রামে যান। তার পর থেকে তাঁদের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। ২৪ মে তাঁরা একটি স্কুটি ভাড়া করেছিলেন সোহরারিমে। তার পরই গত ২ জুন রাজার দেহ উদ্ধার হয়। দেহের কাছে তাঁর ফোন এবং একটি ধারালো অস্ত্রও উদ্ধার হয়।

একটি কালো বর্ষাতিও (রেনকোট) উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন পূর্ব খাসি হিলস-এর পুলিশ সুপার বিবেক সিম। সেই বর্ষাতিতে বেশ কয়েকটি সন্দেহজনক দাগ মিলেছে। সেগুলি রক্তের দাগ কি না, তা স্পষ্ট হয়নি। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য সেই বর্ষাতি পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। গত ১১ মে রাজা এবং সোনমের বিয়ে হয়েছিল। ২০ মে তাঁরা ইনদওর থেকে শিলংয়ে মধুচন্দ্রিমায় যান। ২৩ মে তাঁদের শেষ বার দেখা গিয়েছিল। ২ জুন রাজার দেহ উদ্ধার হয় সোহরায়। কিন্তু এখনও তাঁর স্ত্রী সোনমের কোনও হদিস মেলেনি। তার মধ্যেই উঠে এসেছে মানবপাচারের তত্ত্বও। তা হলে কি সোনমকে অপহরণ করে পাচার করে দেওয়া হয়েছে? এই উত্তরের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

meghalaya
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy