কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জন্য উপত্যকায় আবাসন তৈরি করতে জমি দেবে রাজ্য সরকার। আজ দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে এ কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মুফতি মহম্মদ সইদ। রাজনৈতিক চাপে পড়ে এখন মুফতি বিজেপি-পিডিপি জোট সরকারের অভিন্ন কর্মসূচি মেনে চলার চেষ্টা করছেন বলে ধারণা রাজনীতিকদের।
বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে শ্রীনগরের মসনদে বসার পরে পাকিস্তান, জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রতি নরম হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুফতি। রাজ্য সরকার কট্টরপন্থী হুরিয়ত নেতা মাসরাত আলমকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার পরে সংসদে দাঁড়িয়ে কড়া বার্তা দিতে বাধ্য হন মোদী। কাশ্মীরে একের পর এক জঙ্গি হামলাতেও বিপাকে পড়েছেন মুফতি।
আজ দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন মুফতি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, বৈঠকে মুফতিকে উদ্বাস্তু কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জন্য জমি দিতে বলেন রাজনাথ। সে কথা মেনে নেন মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৮০-এর দশকে কাশ্মীরে জঙ্গি সন্ত্রাসের ফলে উপত্যকা ছাড়তে বাধ্য হন কাশ্মীরি পণ্ডিতেরা। এখন জম্মু, দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ৬২ হাজার নথিবদ্ধ উদ্বাস্তু কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবার রয়েছে। হিন্দু পণ্ডিতদের উপত্যকায় ফেরানো বহু দিন ধরেই বিজেপির কর্মসূচির অঙ্গ। জোট সরকারের কর্মসূচিতেও তার উল্লেখ আছে। এই বিষয়ে
রাজনীতিকদের মতে, জঙ্গি ও কট্টরপন্থীদের প্রতি বেশি উদারতা দেখাতে গিয়ে প্যাঁচে পড়েছেন মুফতি। জোট সরকার পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় এখন ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করছেন তিনি। সামরিক বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (আফস্পা) নিয়েও মুফতিকে চাপে ফেলেছে বিজেপি। মুফতি আফস্পা তুলে নেওয়ার বিষয়ে এখনও অনড়। কিন্তু ভূস্বর্গে পর পর জঙ্গি হানার সুযোগে আজ বিধানসভায় আফস্পা তোলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়কেরা। সেই সঙ্গে পাকিস্তান-বিরোধী স্লোগানও দেন তাঁরা। বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্র রানা বলেন, ‘‘পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র। তারা ভারতে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। গত কাল পুলিশের উপরে হামলা থেকেই আফস্পা জারি রাখার প্রয়োজনীয়তা বোঝা উচিত।’’
সতর্ক না থাকার ফলেই গতকাল জঙ্গিরা সহজে পুলিশকর্মীদের খুন করেছে বলে আজ জানান সেনার ১৫ কোরের কম্যান্ডার সুব্রত সাহা। সুব্রতবাবুর কথায়, ‘‘সোপিয়ানে ওই পুলিশকর্মীরা একটি জমি বিবাদের তদন্ত করতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে অস্ত্র ছিল না। তাই সহজেই জঙ্গিরা তাঁদের উপরে হামলা চালাতে পেরেছে।’’ এই পরিস্থিতি এড়াতে সেনা ও পুলিশ নয়া পরিকল্পনা করবে বলে জানান তিনি।
আফস্পা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘বিষয়টি কেন্দ্র ও রাজ্য বিবেচনা করছে। আমরা আমাদের কাজ করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy